ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে পুরো দেশেই চলছে রাজনৈতিক বাড়তি ততপরতা। কোথাও কোথাও নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন নেতা কর্মীরা। এই সংঘর্ষের দিক থেকে এগিয়ে কক্সবাজার। সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা গেছেন।
জানা যায়, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি, পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি। এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরতলির লিংক রোড স্টেশন এলাকা অবরোধ করে স্থানীয় লোকজন।
এ ছাড়াও হামলা এবং নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চার স্থানে সংঘর্ষ ও হামলায় অন্তত ৪৬ জন আহত হওয়াার খবর রয়েছে।
কক্সবাজার : শহরতলির লিংক রোডে গতকাল রবিবার দুপুরে জোহর নামাজের সময় জহিরুলের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। নামাজ শেষে নিহতের স্বজন, সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসে। মুহূর্তে সড়কে কয়েক শ নেতাকর্মী জড়ো হন। তাঁরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন। স্বজনরা জানায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে জহিরুল মারা যান।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোডে তাঁর ছোট ভাই ইউপি মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদারের নির্বাচনী অফিসে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হন দুই ভাই। কুদরত আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়াও পটুয়াখালী, মাগুরা, ভোলা, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, পিরোজপুর, সিরাজগঞ্জ বিভিন্ন স্থানে সরকার দলীয় কর্মীদের মধ্যে মারামারি হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।