ই-কমার্স মানেইকি তবে প্রতারণা?! নাকি এই ই-কমার্স মাধ্যমটি ভুল পথে এগোচ্ছে? বছর খানেক ধরে অনলাইন ব্যবসার কথা আসলেই জেনো মানুষের মনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ভেসে উঠে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ই-কমার্স মাধ্যম ইভ্যালী। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্সকে গ্রাহক ঠকানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন।
ই-কমার্স প্রতারণায় জড়িত ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
ই-কমার্স প্রতারণা তদন্তে সরকার গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটির গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তৃতীয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান কমিটির সমন্বয়ক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় গত ১৮ অক্টোবর কমিটি তাদের প্রথম বৈঠক করে। বৈঠকে বেরিয়ে আসে অনেক রকম তথ্য।
কমিটির সমন্বয়ক জানান, গত ১ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় তিন গোয়েন্দা সংস্থা প্রতারণায় জড়িত ৩৩টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পৃথক তিনটি তালিকা জমা দেয় কমিটির কাছে। তালিকা পাওয়ার পর প্রতারণায় জড়িত এসব প্রতিষ্ঠানের কত টাকা কোথায় আছে তা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে তথ্য চায় কমিটি। সেই আলোকে তারা তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ৩৩ প্রতিষ্ঠানে ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান মেলার কথা বলা হয়েছে।