এক সময় বিড়ির জনপ্রিয়তা ছিলো গ্রাম থেকে গ্রামে। সেখানে সিগারেটের সজহলভ্যতায় বিড়ি অনেকটা অপরিচিত হয়ে উঠে। যদিও এখনো দেশের অনেক অঞ্চলে বিড়ি পাওয়া যায়। তবে সিগারেটের চাহিদা থাকায় শহরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকে। যুগের বদলের সঙ্গে এবার সিগারেট থেকে আধুনিক সময়ের ই-সিগারেট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরুণ-তরুণীদের কাছে। এটি কি আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?। সেটি হয়তো সময় বলে দেবে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সিগারেটের চাইতে অন্তত ২০ গুণ বেশি ক্ষতি একটি ই-সিগারেটে। ব্যাটারিচালিত ভ্যাপিং সিস্টেম এটি। নানা স্বাদের লিকুইড দিয়ে চলে ই-সিগারেট সেবন। মূলত স্বাদ আর স্টাইলের কারণে বাড়ছে এর ব্যবহার।
এছাড়া ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে রিং তৈরির কৌশল এবং তা প্রদর্শনও এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। আবার এটি প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর— এমন ধারণাও আছে অনেকের মধ্যে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো রাসায়নিক পদার্থের আসক্তি স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
তারা বলছেন, প্রযুক্তির আধুনিকতার ছোঁয়া সব জায়গায় লাগতে শুরু করেছে। তবে সব আধুনিকতা আমাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে না। এর কিছু কিছু আমাদের তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংসের পথেও নিয়ে যায়। তেমনই একটি ক্ষতিকর জিনিস হচ্ছে ই-সিগারেট।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে, বাংলাদেশ ২০১৭ অনুসারে, ৬.৪ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কই ই-সিগারেটের বিষয়ে অবগত, ০.৪ শতাংশ কখনও ব্যবহার করেছেন এবং ০.২ শতাংশ ব্যবহার করেছেন। ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা সরাসরি নিকোটিনের সংস্পর্শে আসেন এবং এটি কিশোর মস্তিষ্ক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করে। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশে এটি নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ই-সিগারেটে অ্যাসিটালডিহাইড (সম্ভাব্য কার্সিনোজেন), ফর্মালডিহাইড (পরিচিত কার্সিনোজেন), অ্যাক্রোলিন (টক্সিন) এবং নিকেল, ক্রোমিয়াম ও সিসার মতো ধাতুসহ কমপক্ষে ৮০টি ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে।