২০০১ এক। সময় দুপুর বেলা। আমার বন্ধু খলিলের বাবা নিজের ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে গ্রামের বাড়ী ফিরছিলেন। অপ্রস্তত বজ্রপাতে কয়েক নেনো সেকেন্ড মৃত্যু হয় খলিলের বাবার। মুহুর্তেই তাদের সব উলট-পালট হয়ে যায়। ঘটনাটি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার। এমন ঘটনা প্রায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রতিকার নিয়ে কেউ সেভাবে কখনো ভাবেনি। তবে এবার সরকার সে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। বজ্রপাতের আগেই সে এলাকার মানুষকে সচেতন করবে আবহাওয়া অফিস। জানা যাবে ৪০ মিনিট আগে।
বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে ‘আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ নামে একটি যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের বজ্রপাত-প্রবণ এলাকায় ৭২৩টি যন্ত্র বসানো হবে। তবে প্রকল্পটির ব্যয় ও বাস্তবায়ন মেয়াদ এখনও নির্ধারণ হয়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ বছরে বজ্রপাতে দেশে কম-বেশি আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১, ২০১৩ সালে ১৮৫, ২০১৪ সালে ১৭০, ২০১৫ সালে ১৬০, ২০১৬ সালে ২০৫, ২০১৭ সালে ৩০১, ২০১৮ সালে ৩৫৯, ২০১৯ সালে ১৯৮, ২০২০ সালে ২১১ জন মানুষ বজ্রপাতে মারা যান।
এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বজ্রপাতে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ১টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ফনিন্দ্র বিশ্বাস (৩০) ও নিরঞ্জন বিশ্বাস (২৫)।
গত ১১ বছরে বজ্রপাতে দেশে কম-বেশি আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৪০ লাখ বা তার বেশি-সংখ্যক বজ্রপাত মেঘ থেকে ভূমিতে নেমে আসে। ২০২০ সালে এর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫ লাখ।