ছোট ভাই শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম শেখ রাসেল দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘শেখ রাসেল: শৈশবে ঝরে যাওয়া ফুল’ ও ‘শেখ রাসেল: দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
‘খুবই সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল শেখ রাসেলের। তাকে নিয়ে তেমন কোনো লেখা বা তার জীবনযাপনের বিষয় নিয়ে কোনো তথ্যভিত্তিক বিশদ বর্ণনা পাওয়া যায় না। ছোট ভাই রাসেলকে নিয়ে সবচেয়ে তথ্যবহুল লেখাটি লিখেছেন তার বড় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাসেলকে নিয়ে সেই স্মৃতিমধুর লেখায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হৃদয় খুঁড়ে খুঁটিনাটি বহু প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।’ সব ঘটনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে নিয়ে সংকলিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের যৌথ এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমান, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
‘শেখ রাসেল: শৈশবে ঝরে যাওয়া ফুল’ বইটির প্রধান উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বইটি সম্পাদনা করেছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। আর বইটির উপদেষ্টা সম্পাদক বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
জয়ীতা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বই দুটির প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয়। প্রচ্ছদ ও গ্রন্থ পরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত আরও লিখেছেন, ‘শেখ রাসেলকে নিয়ে আরও একটি নিবিড় মমতামাখা রচনা থাকছে বোন শেখ রেহানার। শেখ রেহানা সে সময় বড় বোনের সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। রাসেলেরও জার্মানিতে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সে সময় তার অসুখ করায় মা যেতে দিতে রাজি হননি। আহা, সে যদি সেদিন চলে যেত বোনদের সঙ্গে।’