আবারো পেছালো রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায়। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ‘গরিবের আইনজীবী’ হিসেবে খ্যাত বাসেত মজুমদারের। তার মৃত্যুতে ঢাকার সমস্ত নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায় আবারো পেছালো।
আজ ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল।
গত ১২ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং রায় পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে তারিখ রাখা হয় ২৭ অক্টোবর। এদিন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে আলোচিত এই মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল।
৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা চার বছরের পুরোনো এই মামলার বিচার কার্যক্রম সমাপ্তির জন্য যুক্তি তর্কের শুনানিতে অংশ নেন।
এ মামলায় আসামিপক্ষে বিভিন্ন তারিখের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল, কাজী নজিবুল্যাহ হীরু, আব্দুল বারেক চৌধুরি, খায়রুল ইসলাম লিটন, মো. হেমায়েত উদ্দীন মোল্যাসহ আরও কয়েকজন।
এতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এবং বাদীর নিজ খরচায় নিয়োজিত আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বিচারকের কাছে বলেছিলেন, ‘যেটি যৌক্তিক মনে হয় সেটিই রায়ে উঠে আসুক।’
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেননি। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ জমা দেয়া হয়নি।’