কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার মান্নানের তেলেছমতি কারবার। টাকা দিলে ড্রেন হয়ে যায় বাঁকা আর না দিলে ড্রেন নির্মাণের জন্য স্থাপনাগুলো হয়ে যায় ফাঁকা। এভাবেই চলছে কুষ্টিয়ার পৌরসভা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের ড্রেন নির্মাণ কাজ। কুষ্টিয়া দাদাপুর সড়কের (মাদার শাহ্ পুকুর) জুগিয়া এলাকায় বহুতল ভবনের ভেতর দিয়ে অভিনব কায়দায় ড্রেন নির্মাণ কাজ চললেও পাশেই মসজিদের মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ড্রেন নির্মাণের অযুহাতে। আবার কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখা যায় দুইতলা বিশিষ্ট মার্কেট বেধে যাওয়ায় সার্ভেয়ার মান্নানের তেলেছমতিতে ড্রেন নিমার্নের নকশা ঘুরিয়ে বাঁচানো হয়েছে মার্কেটটিকে। আর এই সবের পেছনে রয়েছে সার্ভেয়ার মান্নানের অনৈতিক সুবিধা ভোগের অভিযোগ। যদিও ড্রেনের উপরে স্থাপনা থাকার কোনো আইনী বৈধতা নেই। এ বিষয়ে অভিযোগেরও শেষ নেই। অনেকেই বলছে, যাদের ক্ষমতা ও টাকার জোর আছে তাদের স্থাপনাগুলো ভাঙা লাগছে না, আর যাদের ক্ষমতা ও টাকা নেই তাদের স্থাপনাগুলো ভাঙতে হচ্ছে। এমনকি অনৈতিক সুবিধা দিলে ড্রেনের নকশাও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এ যেন এক দেশে দুই আইন। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জানায়, পাশের মার্কেটের ভিতর দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও মসজিদ মার্কেটটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা অনুরোধ করলেও তা শোনা হয়নি। এমনকি সার্ভেয়ার মান্নানের প্রথম মাপে মার্কেটের কিছু অংশ বাঁধলেও অনুরোধ করার কারণে পরের দিন মাপে পুরো মার্কেটটিই ড্রেনের জায়গায় দেখানো হয়। আমাদের ক্ষমতা নেই, তাই আমরা মার্কেট বাঁচাতে পারেনি।
এ বিষয়ে পৌরসভার সার্ভেয়ার মান্নান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি এ ধরনের কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত নই। এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানায়, যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ লিখিত আকারে দেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।