মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

ইট ভাটা ভেঙে দেওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালু

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ১০ টির অধিক অবৈধ ড্রাম চিমনি ইট ভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কাঠ পুড়িয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গত একমাস পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৬ টি ইট ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবার এক সপ্তাহের মধ্যে পূণরায় সেই সমস্ত ভাটা মালিক প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে হাইব্রিট হফম্যান, জিগজ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন অথবা পরীক্ষিত পরিবেশবান্ধব ইটভাটা করার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকলেও এসব নীতিমালা কোনোভাবেই মানছেন না ওই ড্রাম চিমনি ইটভাটার মালিকরা। এমনই অবৈধ ড্রাম চিমনি ইটভাটা যদুবয়রা ইউনিয়নের আরিফুল ইসলামের মেসার্স এসআরবি ব্রিকস, ফারুখ হোসেনের মেসার্স টিজেবি ব্রিকস, আমিরুল ইসলামের মেসার্স একেবি ব্রিকস, মো. করিম শেখের সৈনিক ব্রিকস ও সামছুলের মেসার্স নিয়াত ব্রিকস, পিপিজে ব্রিকস এ গত মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও কাঁচা ইট সহ ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি ভাটা সংস্কার করে বীরদর্পে কাঠ পুড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।

অন্যদিকে শিলাইদহ ইউনিয়নে মেসার্স বিবিবি ভাটার স্বত্বাধিকারী মিরাজ হোসেন, সবুর ও নাসির তাদের ড্রাম চিমনির অবৈধ ইট ভাটায় টন টন কাঠের স্তুপ জমিয়ে কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালাচ্ছ। এসময় ভাটার স্বত্বাধিকারী সবুর জানান, প্রতিবছর পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের ইটভাটা ভেঙে দেয়। কিন্তু পূণরায় ভাটা চালু করা ছাড়া তাদের উপায় নেই কারণ প্রচুর টাকা লোকসান হয়েছে ইতিমধ্যে। তিনি জানান, এপর্যন্ত তিনবার তাদের ভাটা ভেঙে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আতাউর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, যে সমস্ত ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডি মহোদয়ের সাথে তার কথা হয়েছে। যে সমস্ত ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র বিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং দ্রুতই সমস্ত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x