শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়েতে প্রায় দেখা যায় শখ করে হোক বা প্রথা গতভাবে হোক বরকে সোনার গহনা (চেইন বা আংটি) দেয়। যারা দেয় তারা হয়তো খুশি মনেই দেয়, কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে এটি আসলে সোনার আংটি দেওয়া হয় না। এর দ্বারা জাহান্নামের আগুন পরানো হয়।

রাসূল (সা ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের কড়া বা আংটি পরানো পছন্দ করে, সে যেন তাকে সোনার কড়া বা আংটি পড়ায়” (আবু দাঊদ, মিশকাত /৪৪০১)

যায়েদ ইবনু আকরাম (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, ‘স্বর্ণ ও রেশমী বস্ত্র আমার উম্মতের নারীদের জন্য বৈধ এবং পুরুষের জন হারাম।’
(সিলসিলা ছাহীহা হা/১৮৬৫/৩০৩০.)

আলী (রা) বলেন, আমি রাসূল (সা) কে দেখেছি, তিনি ডান হাতে রেশম ধরলেন এবং বাম হাতে সোনা। অতঃপর বললেন, আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্তু হারাম।’’ (নাসায়ি ৫১৪৪;আবু দাউদ ৪০৫৭;ইবন মাজাহ ৩৫৯৫)

রাসূল (সাঃ) এক লোকের হাতে সোনার একটি আংটি দেখলেন ।তিনি তা খুলে নিয়ে নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি আগুনের টুকরো হাতে রাখতে চাইলে এই আংটি হাতে রাখতে পারে।’(মুসলিম, আলবানী, আদাবুয যিফাফ ২১৫ পৃষ্টা)

অনেকে বলে চার আনা পর্যন্ত সোনা পুরুষরা ব্যবহার করতে পারে,যাতে বিপদে সেটি বিক্রয় করে কাজে লাগানো যায় বা কাফনের কাপড় কেনা যায়।

কিন্তু এই কথার ভিত্তি নেই। রাসূল (সা) যেহেতু পরিমাণ উল্লেখ না করে সরাসরি সোনার অলংকার ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।

তাই যে কোনো পরিমাণ সোনার অলংকার ব্যবহার পুরুষদের জন্য হারাম। হোক পরিমানে বেশি বা কম হোক সেটা ঘড়িতে প্রলেপ দেওয়া সোনা বা সাদা সোনা।

বিপদের প্রয়োজনে যদি সোনা রাখতেই হয়, সেটি মুদ্রা আকারে বা অন্য কোন আকারে পকেটে রাখা যেতে পারে। কিন্তু অলংকার হিসেবে পুরুষদের ব্যবহার করা যাবে না।

যদি একান্ত শখ থাকে কারো, তাহলে সোনার আংটির বিকল্প হিসেবে রুপা ব্যবহার করতে পারেন।এটিকে উৎসাহ দেওয়া হয় ইসলামে কারণ রাসূল (সা) আকিক পাথর দেওয়া রুপার আংটি পরতেন।

আর গলার চেইন, সেটা সোনার হোক বা রুপার বা লোহার বা পিতলের,পুরুষদের জন্য সেটাও ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। শুধু চেইন না, মেয়েদের সুনির্দিষ্ট করা যেকোনো জিনিস, যেমন কানের দুল, ব্রেসলেট, নাকফুল ব্যবহারও পুরুষদের জন্য নিষেধ।

কারণ রাসূল (সা) সেই পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন, যে মহিলার পোশাক পরে এবং সেই মহিলাকে অভিসম্পাত করেছেন, যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে।(সহীহুল বুখারী হাদিস নং-৫৪৬৫)

শুধু জানার জন্য নয়, এটি মানতে হবে প্রথা যদি জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায় তাকে বর্জন করা উচিৎ।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x