শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় পলাশ আটক

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলায় ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় পলাশ নামের একজনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে ১৭ অক্টোবর ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় ১টি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১২। এই মামলার আসামী পলাশকে শনিবার দিনগত রাত ৪টার দিকে মাজিহাট এলাকা থেকে আটক করে মিরপুর থানা পুলিশ।

শনিবার দুপুরে পলাশকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুর রহমান গ্রেফতার ও মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। আটক পলাশ (৩৭) মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট গ্রামের মৃত আব্দুল দাউদের ছেলে।

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে একই এলাকার এক সন্তানের মা। পরে ধর্ষক পলাশের হুমকিতে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য ওই মহিলা। গর্ভপাত করে মৃত ওই ছেলে সন্তানটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট গ্রামে ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৮ মাসের সন্তান পেটে থাকা অবস্থায়। পোড়াদহ বাজারের কথিত হাতুড়ি ডাক্তার আজমের কাছ থেকে ঔষধ খেয়ে গর্ভপাত করে। গোপনে বাড়ির পাশের বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়। বিষটি ধামাচাপা দিতে মাটি খুড়ে ওই সন্তানটিকে মাটি চাপা দিয়েছে মাজিহাট গ্রামের টুটুল গ্যাং এর দিপু, জাহারুল, শহিদুল মন্ডল প্রমুখ। তাদের একটি শক্তিশালী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে ওই এলাকায়। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহল থেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কিন্তু এই বিষটি তারা গোপন রাখতে পারেননি। ঘটনা জানার পর এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকার মানুষ বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছেন। উল্লেখ্য, গর্ভপাত করা ওই ২২ বছরের মহিলার গত কয়েক বছর আগে উপজেলার রামনগর গ্রামের এক প্রবাসীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। তারপর কয়েক মাস আগে ওই মহিলা তার স্বামীকে তালাক দেয়। ওই সংসারে তাদের একটি ৭ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর থেকেই মহিলাটি তার বাবা বাড়িতে থাকে।

গর্ভপাত করা মহিলা বলেন, আমাদের গ্রামের আমার বন্ধু পলাশের সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রায় এক বছর আগে। পলাশ প্রায় প্রতিদিনই আমাদের বাড়িতে আসতেন এবং আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতেন। এর ফলে আমার পেটে সন্তান আসে।

পরে গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মৃত ছেলে সন্তানের গর্ভপাত হয়। পলাশের সহযোগিতায় আমি পোড়াদহ বাজারের আজম ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঔষধ নিয়ে এসে খেয়েছিলাম বাচ্চা নষ্ট করার জন্য। পরে ৮ মাসের মৃত ছেলে সন্তান গর্ভপাত হয়। তার আগে এক প্রবাসীর সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের একটা ৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে আমি প্রায় ৩ মাস আগে তালাক দিয়েছি। তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে বিদেশে থাকেন। পলাশ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষন করেছে। এবং আমার গর্ভে থাকা ৮ মাসের সন্তানকে নষ্ঠ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে গর্ভপাত হওয়া সন্তানটিকে বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গর্ভপাত করে বাশের ঝাড়ের মধ্যে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকার মানুষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পলাশ ও গর্ভপাত করা ওই মহিলার সাথে পলাশের অবৈধ সম্পর্কের জানায় এবং বাচ্চা নষ্ট করার বিষটি নিশ্চিত করে। স্থানীয়রা এর বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x