শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ার আখ চাষীদের প্রশিক্ষণের পাইলট প্রকল্প খুব শীঘ্রই

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন আখ চাষীদের প্রশিক্ষণ দিতে চলতি বছর কুষ্টিয়া সুগার মিলে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশে অধিক চিনি আহরণযোগ্য উন্নতজাতের আখ চাষ বাড়বে। এতে একদিকে যেমন চালু চিনিকলগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে অন্যদিকে উৎপাদন স্থগিত হয়ে যাওয়া চিনিকলগুলো পূনরায় চালু করা সম্ভব হবে।
১৭ই নভেম্বর ২০২১ (বুধবার) কুষ্টিয়ার চেঁচুয়ায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের আখ চাষের টেকসই মডেল শীর্ষক এক কর্মশালায় এ উদ্যোগের কথা জানান সচিব।
কর্মশালায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ এবং আখ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে কিভাবে কৃষকদের যথাযথ ফলন নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে দিনব্যাপী আলোচনা হয়। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এ কর্মশালার আয়োজন করে। শিল্প মন্ত্রনালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা কর্মশালায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো তাদের চাষীদের আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কলাকৌশলের মাধ্যমে সাফল্য লাভ করেছে।
এবার ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সহযোগিতায় তাদের পদ্ধতি অবলম্বন করে আখ চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।তিনি বলেন আখের টেকসই জাত উদ্ভাবন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মাধ্যমে চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে আখের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশন। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন এমন সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদশ সুগার রির্সাস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন, শিল্প মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক আশরাফ আলী।
আরো উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশের লিগ্যাল এন্ড এক্্রটারনাল অ্যাফের্য়াস মুবিনা আসাফ, হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এন্ড কোম্পানী সেক্রেটারী আজিজুর রহমান, হেড অব লীফ সাজ্জাদ হোসেন, ন্যাশনাল লীফ গ্রোয়িং ম্যানেজার বেলায়েত আলী আহসান, লীফ সাসটেইনাবিলিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। উল্লেখ্য, অর্থ উপার্জনকারী ফসলের মধ্যে আখ বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ফসল। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন দেশের চিনি শিল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন করে থাকে এবং আখ চাষীদের সাথে সরাসরি কাজ করে থাকে।বাংলাদেশে চিনি শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের পেছনে প্রতিষ্ঠানটির আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রসংশার দাবী রাখে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আখের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও লাভজনক পদ্ধতিতে আখ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছানোর মাধ্যম চিনি ও গুড়ের এর চাহিদা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনে বেশ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই শিল্পটিকে আরো বেশি বেগবান করার জন্য শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এখানে আরো উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কনট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ে কাজ করে থাকে এবং অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে তা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তামাক ফসলের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি ফসলের সার্বিক ব্যভস্থাপনা ও কৃষি বিষয়ক পরামর্শ তারা তাদের চাষীদের দিয়ে থাকে। চাষীদের সার্বিক জীবনযাত্রার মানন্নোয়নের জন্য এ কোম্পানী ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যা সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে বিএটিবি বিশ্বাস করে।
 ফলে কৃষকদের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আখ চাষে কৃষকরা যেমন উদ্বুদ্ধ হবে তেমনি আখ মিল গুলোতে পর্যাপ্ত কাঁচামাল নিশ্চিত হবে যা চিনি শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন যৌথভাবে চিনি শিল্পের উন্নয়নে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ করে একটি টেকসই মডেল নির্ধারণ করবে, যা পরবর্তীতে প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x