শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন

ধূমপান ছাড়তে সহায়তা করছে ভেপিং-ওয়েবিনারে বক্তারা

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

ধূমপানের ঝুঁকি হ্রাসে ভেপিং অন্যতম কার্যকর উপায়। বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন ওয়েবিনারের আলোচকেরা। আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ভয়েস অব ভেপার্সের এই ওয়েবিনারে দেশি-বিদেশি আলোচকেরা অংশ নেন।

ভেপিং নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা নিয়ে কথা বলেন আলোচকেরা। এর মধ্যে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভেপার অ্যালায়েন্সের পরিচালক মাইকেল ল্যান্ডল, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালসের উপমহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার আরিফিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সাবেক রেজিস্ট্রার ও বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ডা. রাজীব জোয়ার্দার এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন জামান বক্তব্য দেন। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন ভয়েস অব ভেপার্সের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর মাহমুদুল হাসান।

ধূমপান হ্রাসের প্রথাগত নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতির তুলনায় ভেপিং ৫-৭ গুণ বেশি কার্যকর বলে জানান আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ‘খরচের বিবেচনায় ভেপিং বা ই-সিগারেট সাশ্রয়ী। প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ধূমপানে দৈনিক কম খরচ হবে। তবে সবচেয়ে বড় পাওনা হলো, সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভেপিংয়ের প্রচলন বাড়লে বিশ্বে বছরে ৭০ লাখ মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে।’

মাইকেল ল্যান্ডল বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো ভেপিং রেগুলেশন বাস্তবায়ন করছে যদি বাংলাদেশও বাস্তবায়ন করে আমাদের হিসাব মতে প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ ধূমপান ছেড়ে ভেপিংয়ে আসবে।’

ওয়েবিনারে সুমন জামান বলেন, ‘পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তথ্যমতে, ভেপিং শতকরা ৯৫ ভাগ নিরাপদ। এছাড়া প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় এটি সাশ্রয়ীও বটে।’

ডা. রাজীব জোয়ার্দার বলেন, ‘যারা ভেপিংয়ে বিপক্ষে বলছেন তারা এ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত নন। কিন্তু কেউ যদি ভেপিং করে তাহলে সে প্রচলিত সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারে না।’

শাহরিয়ার আরিফিন বলেন, ‘আমি ধূমপান ছেড়ে ভেপিংয়ে আসার পরে শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছি। কিন্তু যখন ধূমপান করতাম তখন আমি এত ভালো বোধ করিনি।’

আলোচকেরা জানান, ভেপিং নিয়ে নানা পর্যায়ে রয়েছে অনেক ভ্রান্ত ধারণা। ধূমপান হ্রাসে এর কার্যকারিতা আমলে না নিয়ে অনেকে ভেপিংয়ের বিরোধিতা করছেন।

ওয়েবিনারে চারটি দেশে ভেপিংয়ের ওপর করা গবেষণা এবং কেস স্টাডির ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডায় ভেপিংয়ের নীতিমালা এবং ধূমপান হ্রাসে এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ভেটিং প্রচলিত ধূমপান হ্রাসে দারুণ কার্যকর। ওয়েবিনারে আলোচকেরা এসব গবেষণার প্রেক্ষাপট ও ফলাফল তুলে ধরেন।

আলোচকেরা আরো জানান, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সুইডেনের পর যুক্তরাজ্যেই ধূমপায়ীর হার সবচেয়ে কম। যেখানে অন্য দেশগুলো ধূমপান হ্রাস করতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে যুক্তরাজ্যে ভেপিংয়ের সহায়তায় ২০১২ সালে ২০ শতাংশ ধূমপায়ীর হার ২০১৬ সালে ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x