শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসে মোশতাক জিয়ার কথা বললে হবে না: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস লিখতে গেলে খুনী মোশতাক, খুনী জিয়ার কথা বললে হবে না, বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের কথাও বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ৯১ সালের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পারল না। ৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। ৯৬ সালেই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারল একটি রাজনৈতিক সরকার কি এবং তারা জনগণের জন্য কি করতে পারে। এখনো বিশ্বের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা বলে সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের জীবনে ৯৬ সালের সরকার সবচেয়ে ভালো সরকার। তারপর পরবর্তী সময়ে আবার তিনি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন।

“বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করার জন্য সাহাবুদ্দিন নিজে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতেন। শেখ হাসিনা চাইলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসুক। এদেশে একজন শিক্ষিত ভালো গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ মানুষ রাষ্ট্রপতি হোক। এই উদ্দেশ্যেই তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দিন যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তার নাম আলোচনা থেকে বাদ পরে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস লিখতে গেলে খুনি মোশতাক, খুনি জিয়ার কথা বললে হবে না, সাহাবুদ্দিনের কথাও বলতে হবে। তাকে যে সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রপতি করা হলো, যেভাবে তাকে অনুনয় বিনয় করে রাষ্ট্রপতি করা হলো কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার বিপক্ষে এক কথায় স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে যা যা করণীয় সবই তিনি করেছেন। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি।”

তিনি বলেন, পরবর্তীতে ৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি একটা নির্বাচন দিয়েছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলন করে শপথ গ্রহণ করার ৪ দিনের মাথায় নির্বাচিত সরকারকে পতন ঘটায় আওয়ামীলীগ। শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করে সেই নির্বাচন বাংলাদেশে চলে নি।

“শেখ হাসিনার এটা দেখে খালেদা জিয়া মনে করলো আমি শেখ হাসিনার সাথে নির্বাচনে যাব না। বয়কট করল নির্বাচন, ভাবলো চার দিনের মাথায় সরকারের পতন ঘটাবে। তারা চেষ্টা করেছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা ছাড়াও নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করলো। নির্বাচনী কেন্দ্র বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুল পুড়ে দিয়েছিল, প্রিজাইডিং অফিসারদের হত্যা করেছিল, ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। নির্বাচিত সরকারকে পরবর্তী নির্বাচনে যথাযথ সময়ের এক ঘণ্টা আগেও নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারেনি। কারণ তাদের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা, সমর্থন নাই। আওয়ামী লীগের সাথে সমর্থন ছিল বলে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি সে নির্বাচন টিকে নাই।”

তিনি বলেন, শুধু রাজনীতি করলেই হবে না, নির্বাচন বয়কট করলেই হবে না, বয়কট করার সামর্থ্য থাকতে হবে, যোগ্যতা, সাংগঠনিক অবস্থান থাকতে হবে। আজকে যারা বিরোধী দল তারা কখনোই সেই সাংগঠনিক অবস্থান তৈরি করতে পারে নাই। তারা শুধু শেখ হাসিনাকে হিংসা করতে পারে, তার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে পারে নাই।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্সের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব এমদাদ হোসেন মতিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ঢাকা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x