চরম নাটকীয় ম্যাচে শেষ বলে লাগবে দুই রান। টাইগার ক্যাপ্টেন বলে। আগেই তিন বলে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। পাকিস্তান উইকেট থাকলেও বাংলাদেশের জয়ের জন্য জেনো ক্ষণিকের অপেক্ষা। শেষ বল দৌড়ে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বল করতে দৌড় দিলেন বল ছুড়লেন। বল মাটিতেও পড়লো। কিন্তু হঠাত করেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সরে গেলেন। বল গিয়ে আঘাত হানলো স্ট্যাম্পে। কিন্তু আম্পায়র বলটি বাতিল ঘোষণা করে দিলেন। এখানেই হেরে গেলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৩ বছর পর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো দলটি।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে হারলেও শেষ ওভারে দারুণ বল করে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের শেষ ওভারে ৮ রান দরকার পড়ে। প্রথম বল ডট দেওয়ার পর, পরের দুই বলেই সরফরাজ আহমেদ ও ইনফর্ম হায়দার আলীকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে চতুর্থ বলে নতুন ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধান কমিয়ে দেন। কিন্তু পঞ্চম বলে ইফতিখারকে ইয়াসির আলীর ক্যাচে পরিণত করে ম্যাচ ফের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আনেন রিয়াদ। তবে স্নায়ু চাপের শেষ বলটি আর রক্ষা হয়নি। এক বলে যখন পাকিস্তানের জিততে ২ রান দরকার, তখন মোহাম্মদ নওয়াজ ৪ হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।