শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জের সুতাং নদী বাঁচাও সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

শিল্প বর্জ্যে মৃতপ্রায় হবিগঞ্জের সুতাং নদী। এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীটি এখন মৃত্যু পথযাত্রীর মতো দীর্ঘদিন ড্রেজিং না করা ও শিল্পনগরীর বর্জ্য এ নদীটিকে মৃতপ্রায় করে ফেলেছে। পানি রং বদলে এতে অস্তিত্ব হারাচ্ছে নদীটি। শিল্প বর্জ্যে দূষণে সুতাং নদীটি এখন হবিগঞ্জবাসীর দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে।মারাত্মক দূষণে পানি বিষাক্ত হয়ে মরে যাচ্ছে নদীর মাছ। মৎস্য শূন্য হয়ে পড়েছে নদী-খাল-বিল জলাশয়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় হাজার হাজার জেলে। অন্যদিকে চাষাবাদে দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। এছাড়া নদীর পানি ব্যবহার করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন।

কয়েক বছর ধরে চলে আসা শিল্পবর্জ্য দূষণের কারণে মারা যাচ্ছে গবাদিপশু হাঁস-মুরগি। অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগসহ জটিল রোগে।জেলার অলিপুরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা কলকারখানার দূষিত বর্জ্য সুতাং নদীতে ফেলা হচ্ছে। এখানে গড়ে ওঠা অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নেই প্রয়োজনীয় বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি)। যেসব কোম্পানিতে ইটিপি রয়েছে সেগুলো অতিরিক্ত খরচের ভয়ে নিয়মিত চালানো হচ্ছে না।সরকার ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে দেখাতে অনেক কোম্পানি ইটিপি স্থাপন করেছে। কিন্তু এগুলো বন্ধ রেখে কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সুতাং নদীতে। এ ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারী নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের। এ সুযোগে অলিপুর শিল্প এলাকার ৩০/৩৫টি কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সুতাং নদীতে। এর ফলে নদী তীরবর্তী বুল্লা, করাব, লুকড়া, নূরপুর, রাজিউড়া সহ বেশকটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কৃষি, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

নদী তীরবর্তী করাব, ছড়িপুর, উচাইল, রাজিউড়া, সাধুর বাজার, মির্জাপুর, ঘোড়াইল চর, আব্দুর রহিমপুর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনা যায় শিল্পবর্জ্য দূষণে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুতাং নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। পানি থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পনি দূষিত হয়ে মরে আছে জলজপ্রাণী।

৫টি নদী সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন হয়ে গেছে শুধু হবিগঞ্জের শিল্পায়নের জন্য। এই শিল্পায়ন এবং প্রবৃদ্ধি মানুষের জন্য। এখন যদি মানুষই না থাকে তাহলে ভোগ করবে কে নদীর পানি কালো আলকাতরার মতো প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা দেখেছি নদীর পানিতে জলজপ্রাণি মরে ভেসে উঠছে। নদী, খাল, বিল, জলাশয়ে শিল্পবর্জ্য নিক্ষেপের ফলে এই অঞ্চলের পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল ধরণের শিল্পবর্জ্য ‘উৎসে পরিশোধন’ বাধ্যতামুলক হলেও এই অঞ্চলে তা একেবারেই মানা হচ্ছেনা।সুতাং নদী বাঁচাও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে হবিগঞ্জ বাসি।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x