ছুটির দিন মানে বইমেলার অন্যরকম একদিন। নগরের কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটির দিনে একটু অবসর পেয়ে ছুটে যান প্রাণের বইমেলায়। ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি আর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে কিনেন পছন্দের লেখকদের বই। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল ১১টায় মেলার দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মেলায় হাজির হন রাজধানীবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বিকেল গড়াতেই প্রাণের মেলা হয়ে ওঠে মানুষের মেলা। বইপ্রেমীদের সবর পদচারণায় বইমেলা জুড়ে দেখা যায় প্রাণোচ্ছ্বাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে মেলার দ্বার খোলার পর থেকেই আসতে শুরু করে শিশু-কিশোরের দল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অমর ২১শে বইমেলার মূল আকর্ষণ ছিল শিশু চত্বর। বাবা-মায়ের হাত ধরে আসা শিশুদের পদচারণায় মেলার শিশু চত্বর যেন পরিণত হয়েছে কচি-কাঁচার মেলায়। শিশু চত্বরে সিসিমপুরের হালুম, ইকরি, শিকু ও টুনটুনির পরিবেশনা শিশুদের আনন্দে যুক্ত করেছে আলাদা মাত্রা। শিশুদের হই-হুল্লোড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ততাও থাকে বইয়ের শিশু চত্বরের স্টলগুলোতেও। অভিভাবকদের হাত ধরে এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘুরে বই কিনতেও দেখা গেছে শিশুদের। ভূতের গল্প, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, রূপকথা, ঠাকুমার ঝুলিসহ আঁকার বইয়ের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ বেশি বলে জানিয়েছেন বইয়ের স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা। আলাদাভাবে শিশুদের নজরে আছে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পপআপ বইগুলোও।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মা শারমিন আক্তারের হাত ধরে মেলায় এসেছিল লিটল গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী নুসরাত ইসলাম। নুসরাত বলে, ছোটবেলা থেকেই মা কিংবা বাবার সঙ্গে মেলায় আসি। সিসিমপুরের সঙ্গে খেলতে খুব আনন্দ লাগে। মা কয়েকটি বইও কিনে দিয়েছেন।
ছোটদের মেলা প্রকাশক ফয়সাল বলেন, ‘অন্য শুক্রবারগুলোর তুলনায় আজ সকালে পাঠক বেশি। বলতে গেলে সকাল থেকেই মেলা জমে উঠেছে। বিকেলে ভিড় আরও বাড়বে। ’