রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

তেলের দামের তেলেসমাতি, আক্রান্ত অর্থনীতি!

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

সয়াবিন তেলের দাম কয়েক দফা বেড়েছে মানুষ ক্ষদ্ধ হয়েছে। আবার নিজেদের মানসিকতা ঠিক করেছে। নিত্যদিন বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এতেও চুপচাপ সাধারণ মানুষ। তবে সম্প্রতি বৃদ্ধি পাওয়া জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই বাজারে তথা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলা শুরু করে দিয়েছে। অর্থনীতিবীদ এবং বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দামের তেলেসমাতিতে পুরো অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। বিভিন্ন পণ্যের দাম আরো বাড়বে।

তারা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আহরণে ভাটা পড়বে। কারণ, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে ভোগ ব্যয় হ্রাস পায়। এতে করে অর্থনীতি সংকুচিত হয়। আর অর্থনীতি সংকুচিত হলে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আয়কর আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙা হয়ে উঠেছে। সেই সুবাদে সচল হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে তা ব্যহত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিজেল, কোরোসিনের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, যেহেতু তাদের আয় বাড়েনি। তখন বাধ্য হয়ে তারা ব্যয় সংকোচন করে। ফলে মানুষের ভোগ ব্যয় হ্রাস পায়। সংকুচিত হয় অর্থনীতি। ব্যহত হয় জিডিপির প্রবৃদ্ধি।

বর্তমানে কৃষিখাতে ডিজেলের ব্যবহার ১৬ শতাংশ। ডিজেলের দাম বাড়ায় সেচের খরচ বাড়বে। এতে করে বাড়বে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ।

বিদ্যুতে ডিজেলের ব্যবহার ২৬ শতাংশ। দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ডিজেল ও ফার্নেস তেলচালিত। ফলে বিদ্যুতের দাম ও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রাজস্ব আহরণে ভাটা পড়বে। কারণ, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেলে ভোগ ব্যয় হ্রাস পায়। এতে করে অর্থনীতি সংকুচিত হয়। আর অর্থনীতি সংকুচিত হলে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও আয়কর আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x