ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের অফিস চলছে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির দ্বারা। ২০১২ সালে অবসরে গেলেও অফিস করছেন মধু সূদন নামের এক কর্মচারী। আরেক সহকারীও রয়েছেন এলপিআরে।
সহকারী প্রকৌশলী শাহজালাল আবেদিন জানান, প্রতি মাসেই আমি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছি কিন্তু নতুন কাউকে নিয়োগ দিচ্ছে না। তাই অফিস চালানোর জন্য মধু সূদন বাবুকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
তথ্যমতে, কৃষি খামারে সেচ পাম্প স্থাপন করতে হলে অনুমোদন লাগে উপজেলা সেচ কমিটির ও বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প অফিসের। এই অনুমোদন নিতে চা খরচা দিতে হয় এই অফিসের কর্মচারীদের। আইন অনুযায়ী নূন্যতম ৩০০ ফিট দুরত্বে আরেকটি সেচ পাম্প স্থাপন করা যাবে। তবে কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে পানির লেয়ারের উপর ভিত্তি করে পর্যবেক্ষক দল সরেজমিন তদন্ত করে কাছাকাছি স্থাপন করতে পারে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মকর,ফুরসুন্ধি ইউনিয়নে এই রকম সমস্যা আছে জানিয়েছেন উপজেলা সেচ কমিটির এক সদস্য। কিন্তু উপজেলার হরিশংকর ইউনিয়নের পোড়া বাকড়ি গ্রামের আসমত জোয়ার্দার,সাইদুল ও অলিয়ারের ৩০০ ফিট দুরত্বের মধ্যেই রয়েছে ৩টি সেচ পাম্প।
মধু সূদন বাবু জানান, তিনি ২০১২ সালের অবসর নিয়েছেন। কিন্তু আজও তিনি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ভালো কাজ বোঝেন বলেই অফিস তাকে রেখে দিয়েছে। তবে এই কাজ করার জন্য অফিস তার সাথে কোন লিখিত চুক্তি করেনি। তবে তিনি বেতন ভাতা না পেলেও বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা পান বলেই আজও কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ২০১২ সালে অবসর নিয়েছেন এখনও কিভাবে কাজ করছেন এই প্রশ্নে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন বলেন, তিনি ২০১২ সালে অবসর নিয়েছেন আমি তো জানিই না। আমি সেচ কমিটির সভাপতি সেটা ঠিক আছে। কোন জায়গায় নিয়মের বাইরে সেচ পাম্প স্থাপন হওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।