বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

সিজারের ঝুঁকি, কতবার নিরাপদ?

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

সময়ের পরিবর্তনে মানুষের শারীরিক সক্ষমতা কমতে থাকে। এটি খাবারের পরিবর্তন যেমন প্রভাব ফেলে তেমনি মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরাও প্রভাব ফেলে। মায়েদের আগের তুলনায় দৈর্য ক্ষমতা কমেছে। এরজন্য আমাদের চিকিতসা ব্যবস্থাও কম দায়ি নয়! অকারণে সিজার করার প্রবণতায় জরুরি প্রয়োজনেও অনেক পরিবার পিছু হটে। স্বাভাবিক ডেলিভারি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মা ও শিশুর সুস্থতার স্বার্থে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির প্রয়োজন হয়। সিজারিয়ান করানো খুব সাধারণ বিষয় হলেও এটা একটা বড় অপারেশন তাই এর নিজস্ব কিছু ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তিন বারের বেশি সিজার করা যাবে না।

যেবস কারণে সিজার করা লাগে-

• নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও যদি প্রসব ব্যথা শুরু না হয়
• কোনো কারণে শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে
• প্রসব ব্যথা ৮-১২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও যদি প্রসবের উন্নতি না হয়
• গর্ভফুলের অবস্থান জরায়ুর মুখে থাকলে
• প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থাকলে
• গর্ভের শিশুটি যদি অস্বাভাবিক অবস্থানে থাকে
• প্রথম এক বা দুটি শিশুর জন্ম যদি এই পদ্ধতিতে হয়ে থাকে।

সিজারিয়ান ডেলিভারিতে যেসব ঝুঁকি

• একাধিকবার সিজারের কারণে মায়ের ইউটেরাইন ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে
• শিশুর জন্মের পরও ব্লিডিং হলে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভ অপসারণ করে ফেলতে হয় একে হিস্টেরেক্টমি বলে
• হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে
• অচেতন অবস্থা সৃষ্টি করতে যেসব ড্রাগ ব্যবহার করা হয় সেগুলো অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে
• অপারেশনের পর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে
• স্বাভাবিক ডেলিভারিতে অক্ষম হওয়ায় মানসিক অবসাদ হতে পারে
• আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
• প্রতিবার সিজারিয়ানে আগেরবারের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে
• বেশ কয়েকবার সিজার করা হলে ক্ষতের কারণে অপারেশনের সময় ঘণ্টা ছাড়িয়ে যেতে পারে
• এভাবে প্রতিটি সিজারিয়ানের সঙ্গে মায়ের জীবনে ঝুঁকি বাড়তে থাকে
• শিশুরও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
• শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে বা শিশু দুর্বল হয়।

গর্ভাবস্থায় কোনো জটিল সমস্যা যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে ভ্যাজাইনাল বার্থ বা নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ। নরমাল ডেলিভারি শুধু বর্তমান গর্ভাবস্থার জন্যই ভালো নয় বরং পরবর্তীতে গর্ভধারণের জন্যও ভালো।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x