ঢাকা মহানগরীতে চলা সব ধরনের সিটিং ও গেটলক বাস সার্ভিস বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বিভিন্ন রুটে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে চিটিং সার্ভিস। ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। আজ সোমবার এবং গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলা বাসে সরেজমিনে মিলে এই চিত্র।
সদরঘাট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর ও ডেমরার পথে চলাচল করা স্বাধীন, তরঙ্গ, আলিফ, প্রজাপতি ও পরিস্থান পরিবহনের বেশ কিছু বাসে সিটিং সার্ভিস সেবা চালু থাকতে দেখা যায়। আবার অনেক রুটে বাসের গেটলক সেবা বন্ধ করে দাঁড় করিয়ে যাত্রী পরিবহন করলেও কমেনি বাসের ভাড়া।
করোনার বেতাল সময়ে কখনো এক সিটে যাত্রী কখনো দিগুণ ভাড়া নানা পরিবর্তনের পর নাজেহাল পরিবহন ব্যবস্থা। জ্বালানি তেলে দাম বাড়ার পর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয় আরো। পরে ঘোষণা করা হয় সিটিং সার্ভিস এবং গেইট লক বন্ধ করার বিষয়ে।
পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সব সময় বাড্ডা যায় আব্দুর রহমান। গুলিস্তানে থাকা এই যাত্রী বলেন, প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করি এখনো সিটিং সার্ভিসের নামে টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ভাড়া বাড়ালে বাস মালিকরা বাড়াতে দেরি করে না। আর কমালে তারা মানতে চায় না।
ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাসের ভাড়াও ১০ টাকা বাড়ানো হয়। গতকাল সিটিং সার্ভিস বন্ধ থাকলেও এই পথে ৪৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। রামপুরা থেকে বাড্ডা পর্যন্ত ১৫ টাকা বাস ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘এতটুক পথের জন্য ১০ টাকা ভাড়া নিলেই হয়। কিন্তু সিটিং সার্ভিস বাস বলে ১৫ টাকা ভাড়া নিয়েছে।’