মন্ত্রিত্ব হারালে আর দল কোনো ব্যবস্থা নিলে, এমনকি বহিষ্কার করলেও সংসদ সদস্য পদ যাবে না মুরাদের। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য দেয়ার ঘটনায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ ও দল থেকে বহিষ্কারের পর ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বরে তিনি নিজে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। মুরাদ প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০৮ সালে। তবে তার আসন ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরেরবার নৌকা আবার প্রার্থী দেয় আর জিতে আসেন মুরাদ। সেই মুরাদ এবার পড়েছেন বড় ঝামেলায়। মন্ত্রীত্ব হারাতে বসেছেন, হারাতে পারেন দলের পদও।
এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিব্রত, লজ্জিত। এর বাইরে আর কী বলার আছে।’
জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুরাদের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে কোনো পদ নেই। তিনি তার নিজ জেলা জামালপুর শাখার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে হলে জেলা কমিটি থেকে সুপারিশ আসতে হবে। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যবস্থা নেবে।
ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এখনও দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হবে, এর পর আমি আপনাকে বলতে পারব কী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’