২০২০ সালের ৩ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয় মনিরার। রক্ত জমাট বাঁধাজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তার অস্ত্রোপচারের সময় পেটের মধ্যে চিকিৎসকরা অজ্ঞাতসারে কাঁচিটি রেখে সেলাই করে দেন। ঘটনাটি ঘটে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ইউনিট-২-তে।
পৌনে দুই বছর পরে একই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় তরুণীর পেটে রেখে সেলাই করে দেয়া কাঁচিটি অপসারণ করা হয়েছে।
ওই তরুণীর নাম মনিরা খাতুন। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন পরই মনিরাকে বিয়ে দেয়া হয়। অন্তঃসত্ত্বাও হন তিনি। তবে ভ্রুণ নষ্ট হওয়ায় তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী।
এত দিনেও পেটে ব্যথা থাকায় গ্রাম্যচিকিৎসকদেরও দেখানো হয়। সবশেষ বুধবার পেটে অসহনীয় ব্যথা শুরু হলে তাকে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে এক্সেরেতে কাঁচিটি দেখতে পান চিকিৎসকরা।
মনিরার ভাই মো. কাইয়ুম জানান, অস্ত্রোপচারের আগে ৮ দিন এবং অস্ত্রোপচারের পরে ৯ দিন তার বোন ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি করা হবে। কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’