শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ অপরাহ্ন

জটিলতা কাটিয়ে মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৮

নিউজটি শেয়ার করুন

নানা প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতা কাটিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ। এক যুগ পর অবশেষে অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে চিকিৎসা সংক্রান্ত উচ্চ শিক্ষার এ প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর অপেক্ষায় বহুতল একাডেমিক ভবন, নিউক্লিয়ার ভবন, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল, ডক্টরস্ ডরমেটরি ও স্টাফ কোয়ার্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে চলছে ফিনিশিংয়ের কাজ।
তবে ১০তলা ফাউন্ডেশনের ছয়তলাবিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন এখনো এগোয়নি বেশি দূর।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ প্রকল্পের আওতায় ছয়তলা একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস), ছয়তলা ফাউন্ডেশনের চারতলা ভবনবিশিষ্ট একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হোস্টেল, তিনতলা ভবনবিশিষ্ট দুটি ডক্টরস্ ডরমেটরি, দুইতলা ভবনের অফিসার্স ও স্টাফ কোয়ার্টার এখন হস্তান্তরের অপেক্ষায়।
 তবে ১০তলা ফাউন্ডেশনের সাততলা ভবনবিশিষ্ট ৫০০ শষ্যার হাসপাতাল নির্মাণকাজ এখনো চলছে ধীরগতিতে। ফলে মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও নির্মাণকাজে ধীরগতি ও দীর্ঘসূত্রতায় মেডিক্যাল কলেজটিতে আপাতত হাসপাতাল চালু হচ্ছে না। মূল ক্যাম্পাসে এখন শুধু একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করতে চলছে প্রস্তুতি।
ভবনের ফাইনাল রং ও ফিনিশিং কাজ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ রাস্তা-ড্রেন নির্মাণ, গার্ডেনিং ও ভবনের সামনের উন্মুক্ত মাঠে মাটি-বালু লেভেলের কাজ এগুচ্ছে দ্রুত। এছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আওতাধীন এ মেডিক্যাল কলেজে নতুন সংযোজিত সাততলা ভবনের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) বিল্ডিংয়ের কাজও শেষ পর্যায়ে।
নিউক্লিয়ার শক্তি ব্যবহারে দুর্লভ পরীক্ষানিরীক্ষাসহ থাইরয়েড ক্যানসার, বোন ক্যানসারসহ জটিল রোগীদের সর্বোত্তম চিকিত্সা দেওয়া সম্ভব হবে। ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর ২৫০ শষ্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ম্যাটস) ভবনে ২০১১/১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ব্যাচে ৫২ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে কুষ্টিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ।
প্রকল্প তত্ত্বাবধায়নকারী কুষ্টিয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম আজকালের খবর ও পিবিএ’র প্রতিনিধিকে জানান , যত দ্রুত সম্ভব ফিনিশিং কাজ সম্পন্ন করে অবকাঠামো মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। ফলে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মেডিক্যালের মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে অসুবিধা হবে না।কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার দেলদার হোসেন আজকালের খবর ও পিবিএ’কে জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। অবকাঠামো হস্তান্তরসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলে মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই।
এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x