শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে বেধরক মারপিট

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৭

নিউজটি শেয়ার করুন

গাছ কাটতে বাঁধা দেয়ায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বেধরক মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম সহ (৬৮) একই পরিবারের আহত হয়ে আরো দুইজন। গতকাল মঙ্গলবারে (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মোমিনপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে একই এলাকার ময়র আলীর ছেলে মজিবর রহমান, সাহেবজোত  গ্রামের আব্দুল রতন, মোমিনপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের (আকাটু) ছেলে মুরগী বিক্রেতা সাইফুল, ময়ন আলীর ছেলে শহিদুল, মৃত আব্দুর রশিদের (আকাটু) ছেলে সায়েদ, সাহেবজোত এলাকার ময়ব আলীর ছেলে মজিরুল আমাদের জমির গাছগুলো কাটতে যায়। এসময় গাছগুলো কাটতে দেখে তাদের বাঁধা দেই। তাতে তারা না শুনে গাছ কাটতে গেলে থানা পুলিশকে অভিযোগ করা হয়। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের গাছ কাটতে নিষেধ করে চলে যায়। তারা পুনরায় গাছ কাটা শুরু করে।

এর মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুলকে রাস্তার পাশে দেখতে পেয়ে তারা বেধরক মারধর করে গলায় ঘুষি মারতে থাকে। ছোট ভাই হারেস আলম ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সুলতান মাহমুদ রুবেল বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুলকে উদ্ধার করতে গেলে তারা নারী-পুরুষ মিলে ১০-১২ জন তাদের উপর তারা লাঠি শোটা দিয়ে বেধরক মারপিট ও হামলা চালায়। এতে হারেস আলী ও রুবেল গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিবারে সদস্যরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

আহত মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান তুষার, মোছাদ্দেক হোসেন শিশির অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করে। এর পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কিভাবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর সন্ত্রাশী হামলা করা হলো। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই। এ ঘটনায় পরিবারে পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই সাথে আমি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও কার্যকরী সদস্য। আমরাতো সেখানে মারামারি করতে যাই নি। আমাদের গাছ কাটতে গেলে তাদের বাঁধা দেই। এতে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। আমার ছোট ভাই ও ছেলে আমাকে বাঁতে গেলে তারাও গুরুত্বর আহত। মূলত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা কারণে দাবায় রাখার জন্য তারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিঞা  বলেন, এ ঘটনায় নতুন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x