![](https://ajkerarthoniti.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আজ শনিবার ভোর ৫ টার দিকে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়ন এর চারুলিয়া গ্রামের মো: সরোয়ার হোসেন প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে বাড়ি থেকে পাশের ইটভাটায় যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডের ফ্লোরে শুয়ে – সরোয়ার আজকালের খবর ও পিবিএ’র প্রতিনিধিকে জানান, কাজে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ও হত্যার উদ্দেশ্যে খাদিম মেম্বার, কারুন, বাদশাহ্, রিন্টু, কাবলু, এনামুল, ইরতান সহ ১০/১৫ জন লোক সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করে এবং পরে গন ধোলাই দিয়ে পেটের ওপর একটা শাটার গান রেখে গাছের সাথে বেধে রাখে।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চারুলিয়া ইটভাটার মালিক সাব্বির রানা পান্টু। সে দ্রুত তার শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য প্রথমে তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্প ও পরে মিরপুর থানা এবং এস আই শ্যামা প্রসাদ ও তার সংগীয় ফোর্স এসে সরোয়ার কে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ও অবৈধ অস্ত্রটি নিয়ে পুলিশ থানায় চলে যায়।
পান্টু ও রিপন ঘটনা সম্পর্কে মুক্ত চিন্তার দৈনিক আজকালের খবর ও পিবিএ’র প্রতিনিধিকে জানান ১১ ই নভেম্বর ২০২১ মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা নৌকার মাঝি সোহানের পক্ষে নির্বাচন করার কারণে আগে থেকেই আনারস মার্কার চেয়ারম্যান হান্নান হুমকি দেন, ভোটের পর দেখে নিব।
তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই জঘন্যতম ও আওয়ামী লীগের কর্মীর উপর মিথ্যা সাজানো অস্ত্রের নাটক মঞ্চস্থ করে। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবী এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হউক। সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হান্নান ও মেম্বার খাদিম এর সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে নৌকার মাঝি সোহান বলেন, প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই জঘন্যতম অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। তা না হলে ভবিষ্যতে এরকম আরও অনেক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত অর্থপেডিক্স মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রাজিব ও সহকারী ডাঃ সাদিয়া খান রোগী সরোয়ার সম্বন্ধে – মুক্ত চিন্তার দৈনিক আজকালের খবর ও পিবিএ’র প্রতিনিধিকে বলেন… রোগীর একটা হাত ও দুই টা পা বর্তমানে ভাঙ্গা আছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অনেক জায়গায় রক্ত ক্ষরন হয়েছে। মাথায় কাটা ও রক্ত ক্ষরনের কারণে সিটি স্ক্যান ছাড়া বিস্তারিত এখন বলা যাচ্ছে না। তবে আল্লাহ্র রহমতে রোগী এখন নিরাপদ।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরোয়ার এর পরিবার মামলা দায়ের করতে থানায় অবস্থান করছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..