এক সময়ের জাতীয় দলের আশা প্রত্যাশা যাদের কাছে ছিলো সবচেয়ে বেশি। যারা বর্তমানেও লীগ পর্যায়ে ভালো খেলে যাচ্ছেন তাদেরই এখন কদর নেই দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট আসর বিপিএল এ। এটিকে অসনি সংকেত হিসেবে দেখছেন দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মনে করছেন, সিনিয়র জুনিয়রদের সমন্ময়ে এবং খেলার উপর মূল্যায়ন করা না হলে এটি দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে না।
যে বিপিএলে ডি ভিলিয়ার্স, স্মিথ, আমিরদের মতো ক্রিকেটার খেলেছেন সেখানে বর্তমানে জায়গা পাচ্ছেন বেনি হাওয়েল, সিরাজ আহমেদ, সিকান্দার রাজার মানের ক্রিকেটাররা। এতে লীগের মান খারাপ হচ্ছে। যেটি সাধারণ কিক্রেট সমর্থক বুঝলেও কর্তাব্যক্তিরা বুঝতে পারছেন না।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের জন্য দল গুছিয়েছে। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ছয় শতাধিক ক্রিকেটারের ভেতর থেকে পছন্দের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল বানিয়েছে পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে এতো বিপুলসংখ্যক ক্রিকেটারের ভেতর থেকেও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পছন্দের ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেননি ড্রাফটে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন। ফলে প্লেয়ার্স ড্রাফটের ছয় দলের কোনওটিতেই জায়গা হয়নি তাদের। একই সঙ্গে বিপিএলের আসন্ন আসরে দল পাওয়া হয়নি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, ওপেনার সাইফ হাসান, পেসার আবু জায়েদ রাহী ও বিশ্বকাপজয়ী যুব ক্রিকেটার তানজিদ হাসান তামিমেরও।
পাশাপাশি দল পাননি শর্টার ফরম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার আনিসুল ইসলাম ইমন, মুনিম শাহরিয়ার, মুরাদসহ বেশকিছু ক্রিকেটার।
পুরো বিপিএলের লেগ স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন মাত্র দুই ক্রিকেটার- যুবায়ের হোসেন লিখন ও রিশাদ হাসান। বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের শর্ত ছিল প্রতিটি দল দেশি ক্রিকেটারদের ভেতর ১৪ জনকে দলে ভেড়াতে পারবে। কিন্তু প্লেয়ার্স ড্রাফটে সেই শর্ত পূরণ করেনি কোনও দলই।
এদিকে আসন্ন বিপিএলের আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তারকার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো কম। ফাফ দু প্লেসি, ক্রিস গেইল, সুনীল নারিন, মুজিব উর রহমান, আহমেদ শেহজাদ ছাড়া নেই কোন তারকা খেলোয়াড়।