শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জবির দর্শন বিভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪১

নিউজটি শেয়ার করুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দর্শন বিভাগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিভাগের ক্লাস ও অফিস রুমের বিভিন্ন জয়েন্টে ফাটলসহ পলেস্তারা উঠে গেছে। ক্লাস চলাকালীন সময় পলেস্তারা পড়ে যাচ্ছে বলে দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে দর্শন বিভাগের শ্রেণী কক্ষ, সেমিনার এবং শিক্ষকদের বসার কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জরাজীর্ণ এই ক্লাসরুমগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে আতঙ্কে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিভাগের শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে ভিজে যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভাগের ফাইলপত্র। এই বিভাগে প্রায় পাঁচশ’ শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছে। ছাদ ও ওয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ায় ব্যবহার অযোগ্য রুমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে কোন সময় দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে। আশির দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত এই কলা ভবন বর্তমানে চার ও পাঁচ তলা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

দর্শন বিভাগের সেমিনারের লাইব্রেরিয়ান মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ছাদের একটি অংশ থেকে সিমেন্টের আস্তরণ ও পলেস্তারা খসে পড়ে তাঁর টেবিলের ওপর। অল্পের জন্য তিনি আঘাত পাননি।

একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় আমরা চিন্তিত থাকি কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত আমাদের শ্রেণীকক্ষগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করে ক্লাস করার মতো পরিবেশ তৈরি কারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, আমরা ইতিমধ্যে রেট্রু ফিটিং নামক একটি পদ্ধতিতে বিজ্ঞান অনুষদের একটি ভবনের নীচতলায় নমুনা কাজ চালিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদ্ধতি দেখে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পদ্ধতিতে রড যখন ভঙ্গুর হয়ে যায় তখন সেখান থেকে কেটে নতুন রড সংযুক্ত করে প্লাস্টার করে দেয়া হয়। এছাড়াও অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে যেই পদ্ধতি প্রয়োজন আমরা তা প্রয়োগ করবো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজেট হলেই আমরা কাজ শুরু করবো।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x