শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

বটতৈল ইউপিতে মিন্টু ফকিরের গন জোয়ার

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫৫

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের উপর অতর্কিত মটর সাইকেল বহরে হামলা চালায়, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২১ প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ মমিন মন্ডলের ছেলেসহ সমর্থকেরা। সেদিন হামলার ঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিন্টু ফকিরকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলো। ঢাকা মেডিকেল থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে একসপ্তাহ পর তিনি ফিরে এসেছেন তার নিজ জন্মভূমি কুষ্টিয়ার খাজানগর। মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ বটতৈল এর খাজানগর এসেই বাবার কবর জিয়ারত করে কর্মীদের সাথে দেখা করেন তিনি। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের আয়োজনে নির্বাচনী পথসভা খাজানগর তানিয়া এগ্রো ফুড রাইচ মিলের ধান চাতালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পথসভায় মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন গত ২১ ডিসেম্বর হামলায় আমি তো মারাই গিয়েছিলাম। আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ফেরত এসেছি। এখন পর্যন্ত ঠিক ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছি না। খাজানগর এর ইতিহাস রক্তের ইতিহাস, জুলুমবাজদের অন্যায়ের ইতিহাস। সব সময় এই খাজানগরের মানুষের সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আপনারা জানেন প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ২০ ডিসেম্বর ২০২১ সন্ধ্যায় আমি খাজানগরে জুলুমবাজ দের ইতিহাস তুলে ধরেছিলাম। এরই জের ধরে ২১ তারিখে আমার শান্তিপূর্ণ মোটরসাইকেল র‍্যালিতে হামলা চালায় আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এম এ মমিন মন্ডলের লোকজন।

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আপনি মিন্টু ফকির এর ওপর হামলা করেননি হামলা করেছেন জনগণের ওপর। আপনি জনগণকে ভয় পান। আপনার সাহস থাকলে জনগণের কাছে এসে ভোট ভিক্ষা করতেন। মমিন মন্ডল আপনি ভেবেছিলেন গত নির্বাচনের মত সবাইকে চাপ দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার চেয়ারম্যান হবেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার ও বলবেন আমি কি আপনার ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। কিন্তু এবার আপোষ নয়, আপনাকে এবার জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়েই দেখাতে হবে সাধারণ মানুষের কত ক্ষমতা আমি নির্বাচন করে প্রয়োজনে জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেব। কারণ আমি তো ২১ তারিখে মারায় গিয়েছিল। আমার ওপর হামলাকারীদের ক্ষমা করে দিলাম কিন্তু তাদের ভুলতে পারবো না। আগামী ৫ জানুয়ারি ২০২২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ।আপনারা কেন্দ্র পাহারা দেবেন। সাংবাদিক ও প্রশাসন আমাদের পাশে সব সময় থাকবেন ইনশাআল্লাহ। দল মত নির্বিশেষে সবাই আমার সাথে আছে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য যে ৫ হাজার ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই মামলা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় মাতব্বর ইকবাল হোসেন, আবুল সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মেম্বার আলতাব হোসেন, মানিক কাজী, রাকিব হোসেন, ইছাদুল, আবুল সরদার, মিন্টু ফকিরের চাচা সমাজ প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x