ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে উপস্থিত হন নেতাকর্মীরা। বাড়ি বাড়ি তল্লাসী করে পথে পথে পুলিশী বাঁধা কোনটাই ঠেকাতে পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীদের। প্রশাসনের এই বাধা উপেক্ষা করে আজ বুধবার পথে পথে জনশ্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাস্তাঘাট বন্ধ ও যানবাহন আটকিয়েও বিএনপি নেতাকর্মীদের দমাতে পারেনি। ফলে দুপুর ১২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকে জনসভাস্থলে গ্রাম থেকে মানুষ সমবেত হতে থাকেন। দুপুর হওয়ার আগেই উজির আলী স্কুলের বিশাল ময়দান কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। মাঠে কোন তিল ধারণের স্থান ছিল না। মাঠ ভর্তি হয়ে জনতার শ্রোত পথে প্রান্তরে আছড়ে পড়ে।
ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং গ্রাম থেকে মানুষ ব্যানার, ফেষ্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে সমাবেশে সমবেত হতে থাকেন। নেতাকর্মীদের মুর্হুমুর্হ করতালীর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি নেতৃবুন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মসিউর রহমান অভিযোগ করেন, পুলিশ খালেদা মুক্তি আন্দোলনের এই সমাবেশ ঠেকাতে এহেন কোন পন্থা নেই যা প্রয়োগ করেনি। পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাদের গাড়ি কেড়ে নিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে সমাবেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু জনতার বাধভাঙ্গা জোয়ারের কাছে তারা হেরে গেছেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, যে কাজ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা করবেন, সেই কাজ পুলিশ করেছে যা একটি ঘৃন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। বিএনপির এই সমাবেশকে ঘিরে জেলা শহরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। সমাবেশ স্থলেও নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা।