শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

গেলো বছর নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ৯১ জন

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৭

নিউজটি শেয়ার করুন

এ বছরের প্রথম থেকেই উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। কমিশনসহ দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সহিংসতামুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে উৎকন্ঠা, সহিংসতা, হানাহানি ও হতাহতের মাত্রা নতুনভাবে যোগ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনীত একক প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন না পেয়ে অধিকাংশ স্থানেই আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যকার সংঘাত-হিংস্রতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনী সংঘাত, সহিংসতা ও নানাবিধ অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।

এ সকল নির্বাচনে অন্তত ১৫৬টিতে চেয়ারম্যন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নির্বাচনগুলো প্রহসনে পরিণত হচ্ছে পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ এ সব নির্বাচন ক্রমাগত জনগণের আস্থা হারাচ্ছে যা দেশের গনতন্ত্রের প্রতি হুমকি বলে এমএসএফ মনে করে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) কর্তৃক সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সহিংসতার ১৬৭টি ঘটনায় কমপক্ষে ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তাছাড়াও ১৮১৫ এর বেশি মানুষ সংঘর্ষ-সহিংসতায় আহত হয়েছেন । নিহত ৯১ জনের মধ্যে ২১ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং ৬ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন ।

নিহতদের মধ্যে প্রায় সকলেই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন নভেম্বর মাসের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, যার সংখ্যা ৪৯। আর এ মাসেই নরসিংদী জেলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। অন্যদিকে ২৯ নভেম্বর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিহতের ঘটনা ঘটে; যা ছিল ১১ জন। উল্লেখ যে, নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নারী, একজন শিশু, দুইজন হিন্দু ধর্মাবলী, দুইজন নৃতাত্বিক জাতিগোষ্ঠী ও একজন বিজিবি সদস্যর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপক সহিংসতায় নির্বাচনী সৌন্দর্য ম্লান হয়েছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x