শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেয়াটা সঙ্গত মনে করে না ইসলামী আন্দোলন

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৩

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসি গঠন নিয়ে আইন প্রণয়নের কথা বলছেন অনেক রাজনৈতিক দল। আইন প্রণয়নের প্রস্তাব যৌক্তিক এবং এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও বটে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আইন প্রণয়ন করবে কে? একটি বিতর্কিত নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করা সাংসদবৃন্দ? যাদের নিজেদেরই নৈতিক ভিত্তি নাই। একটি দলান্ধ ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের সুবিধাভোগী সাংসদবৃন্দ কোন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আত্মমর্যাদাশীল ইসি গঠনে কার্যকর আইন প্রণয়ণ করবে, এমন আশা করা বাহুল্য
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান যখন কোন সংলাপের আমন্ত্রণ জানান, তখন তাতে সাড়া দেয়া নাগরিক দায়িত্ব বোধের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। এই বোধ থেকেই আমরা ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু তিক্ত সত্য হলো, আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। গত দুই কমিশনের অধীনে যে দুটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে এগুলো এতটাই বিতর্কিত ও জালিয়াতিতে পূর্ণ যে, তা জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম হতাশ, বিব্রত ও লজ্জিত করেছে।

শনিবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংলাপে অংশ না নেয়ার কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএ আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, এডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আল্লামা মকবুল হোসাইন প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, হতাশাজনক ব্যাপার হলো, এই ইসির নিয়োগকর্তা মহামান্য প্রেসিডেন্ট এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের দায়ে তারই গঠিত কমিশনকে কোনরকম জবাবদিহিতার আওতায় আনেননি। কোন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপকে আমাদের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়। তাছাড়া অতীতের দুটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে প্রেসিডেন্টের কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি।

মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মহামান্য প্রেসিডেন্ট সংলাপ নিয়ে দেশের চিন্তাশীল মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে আমরা কোন আগ্রই দেখতে পাচ্ছি না। বরং জনগণ মনে করছে, প্রেসিডেন্টের সংলাপে ফলপ্রসূ কিছু হবে না। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে জনগণ মনে করে না। অতএব, জনআকাঙ্খার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না। তিনি আরো বলেন, ফলপ্রসূ সংলাপ হতে হলে সংলাপের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করতে হবে। দেশবাসী মনে করে, নির্বাচন কমিশন গঠন নয় বরং সংলাপ হওয়া উচিৎ নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কিভাবে হবে, তা নিয়ে সংলাপ হওয়া উচিৎ। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হলো- ১. নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করতে হবে। ২. নির্বাচনের সময় অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। ৩. ইসি আয়োজিত প্রতিটি নির্বাচনের পরে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন ও ইসির মূল্যায়ন করতে হবে। নির্বাচনে কোন ধরনের অসততা, অদক্ষতা ও পক্ষপাত পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের অপসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ৪. জন প্রশাসন, আইন, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কালীন নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করতে হবে। ৫. নির্বাচন কমিশনের বাজেট, সচিবালয় ও পরিচালনা নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিতে হবে। ৬. নির্বাচন কালীন সহিংসতার প্রতিটি অপরাধের বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসিকেই নিতে হবে। ৭. সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাউকে কাউকে দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে দেখা গেছে। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে তাদেরকে চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
২০১২ এর সংলাপে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচন এর আয়োজন করেছে; যেখানে ১৫৩ জন এমপিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী দেখানো হয়েছে। আর ২০১৭ এর সংলাপের পর গঠিত কমিশন ১০১৮  সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে। যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে থাকে। এই দুই জাতীয় নির্বাচন এতটাই বিতর্কিত ও জালিয়াতিতে পূর্ণ যে, তা জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম হতাশ, বিব্রত ও লজ্জিত করেছে। তিনি বলেন, এই ইসির নিয়োগকর্তা মহামান্য রাষ্ট্রপতি এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের দায়ে তারই গঠিত কমিশনকে কোনরকম জবাবদিহিতার আওতায় আনেননি; কোন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপকে আমাদের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সালে জন্মের পর থেকে ১৯৮৮ সালের ৩ রা মার্চ জাতীয় পার্টির অধিনে অনুষ্ঠিত হাস্যকর নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন বিএনপি সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচন; এই তিনটি চরম বিতর্কিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া বাকি সবগুলো অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনে জোটগতভাবে এবং এককভাবে অংশ নিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনকল্যাণে নিবেদিত একটি দেশপ্রেমিক শান্তিকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনমতের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। প্রতিটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে দেশের জনগণের অনুভূতি, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর পরামর্শ ও মতামত এবং সিভিল সোসাইটির পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণকে অধিকতর মূল্যায়ন করে থাকে।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে দেশের চিন্তাশীল মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে আমরা কোন আগ্রই দেখতে পাচ্ছি না। বরং জনগণ মনে করছে, রাষ্ট্রপতির সংলাপে ফলপ্রসূ কিছু হবে না। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে  জনগণ মনে করে না।

জনআকাঙ্খার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময়ই সমঝোতা, সমন্বয় ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা আলাপ আলোচনা ও সংলাপের বিরোধী নই। দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত করতে হলে, সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করতে হলে ফলপ্রসূ সংলাপের কোন বিকল্প নেই।

আর ফলপ্রসূ সংলাপ হতে হলে সংলাপের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করতে হবে। দেশবাসী মনে করে, নির্বাচন কমিশন গঠন নয় বরং সংলাপ হওয়া উচিৎ নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো নিয়ে। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কিভাবে হবে, তা নিয়ে সংলাপ হওয়া উচিৎ। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এমন একটি ফলপ্রসূ সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন। জন আকাঙ্খার আলোকে এমন একটি সংলাপ হলে, তাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অবশ্যই অংশ নিবে।

চলমান ইউপি নির্বাচনে নৈরাজ্য এবং দস্যুতা সম্পর্কে আপনারা জানেন। সারা দেশের ইউপি নির্বাচনগুলোতে নৈরাজ্যজনক অবস্থাতে দেশে কোন নির্বাচন কমিশন আছে বলে মনে হয় না। ধাপেঁ ধাপেঁ আয়োজিত ইউপি নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেঁই ১০%-এর বেশি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রত্যেকটি জায়গায়ই সরকার দলীয় প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং এমপিরা সরাসরি প্রভাব খাটিয়েছেন। সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার লাকসামে একটি ইউনিয়নেও নির্বাচন হতে দেয়নি। মনোহরগঞ্জ উপজেলায়ও তার লোকজন কাউকে মনোনয়নপত্র তুলতে দিচ্ছেন না। সারা দেশে এ জাতীয় বহু ঘটনা রয়েছে। তাই যে সব ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন আমরা সে সব ইউনিয়নে আবারো নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থীদের উপর বিভিন্নভাবে হুমকি, ধমকি ও জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। যে সব ইউপিতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছে, বাড়ীঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জালিয়ে দেয়া হয়েছে আমরা সে সবের সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। দ্রুত সন্ত্রাসী এবং দস্যুদের গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।
আপনারা একমত হবেন, নিশ্চয়ই রাষ্ট্র গড়ে ওঠে মূলত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপরে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শক্ত আইনভিত্তিক, সুসংহত কাঠামো নির্ভর হয় এবং কার্য পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীন হয় একই সাথে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে দেশ এগিয়ে যায়।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য! ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়েও দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন করা যায়নি; প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোবদ্ধ করা যায়নি; নিয়োগ, কার্য পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা যায়নি। এযাবতকালে যারাই দেশ পরিচালনা করেছে, তারা সবাই এজন্য দায়ী। যে যত বেশি সময় দেশ শাসন করেছে তার দায় ততবেশি।
আইনমন্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন, ইসি গঠনে আইন করার মত সময় নাই। নানা বিতর্কিত পন্থায় টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থেকে যখন বলেন, ইসি গঠন সংক্রান্ত আইন করার সময় পান নাই; তখন একে মতলববাজি ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না।

স্বাধীনতার বিগত ৫০ বছরে কেন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের রূপরেখা হলো না। এখনো কেন্ জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হয়। এর জবাব স্বাধীনতা পরবর্তী যে ৩টি দল রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তাদেরকেই দিতে হবে। ৩টি দলই সংবিধানকে অবজ্ঞা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যারা বিগত দিনে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে জনগণের অধিকারকে কুক্ষিগত করেছে, তাদেরকে অবশ্যই জনগণের কাঠগড়ায় দাড় হতে হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x