দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের পালানোর পথ কই? এরমধ্যেও হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। কখনো সরকার ঘোষণা দিচ্ছেন। আবার কখনো ঘোষণার আগেই বাড়িয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বাজারের এমন অস্থির পরিস্থিতিতে যেনো কথা বলার কেউ নেই। যে যখন যেমন পারছে দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু কমানোর সময় তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সয়াবিন তেলের বিদ্যমান দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে হেরফের না হওয়ার কথা বলা হলেও খুচরা বাজারে তা বাড়তে শুরু করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর বাণিজমন্ত্রী টিপু মুনশির এমন ঘোষণার দুদিন না যেতেই খোলা সয়াবিনের দাম বেড়েছে বাজারে। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বাজারে খুচরায় খোলা সয়াবিন তেল তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে প্রতি লিটার ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দোকানিরা বলছেন, আগের সপ্তাহে এ দর ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
অথচ সরকারিভাবে খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি লিটারে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ দরেই তা বিক্রি হওয়ার কথা।
তবে বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতোই সরকার নির্ধারিত লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। এর বাইরে কোনো কোনো ব্র্যান্ড বোতল বা প্যাকেটজাত তেলের খুচরা দর ১৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পাম অয়েলের দামও লিটারে ১/২ টাকা বেড়ে ১৩২ থেকে ১৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; গত সপ্তাহ যা ছিল ১৩০ থেকে ১৩৬ টাকা।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে চলতি মাসের শুরুতে লিটারে আট টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে সরকারের কাছে গেছে সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো।