শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

জেনে নিন ব্যাংকগুলোর মুনাফার হার

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা করে অনেকেই অল্প বেশি সঞ্চয়ের কথা চিন্তা করেন। কিন্তু কোথায় বা কোন প্রতিষ্ঠানে সেটি রাখবেন সেটির জন্য অনেক সময় হয়ে উঠে না। একদিকে যেমন মুনাফার বিষয় থাকে অপরদিকে নিরাপত্তার বিষয়টি এখানে মূল হয়ে দাঁড়ায়। এরপরও ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এখন থেকেই আয়ের একটি অংশ সঞ্চয় করার কথা ভাবছেন অনেকেই। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, কোথায় জমাবেন এ অর্থ? কেমন পাবেন সুদ বা মুনাফা? অথবা কতটুকু নিরাপত্তা পাবেন?

প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখাই মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প বা ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম)। ডিপিএস নামে বহুল প্রচলিত হলেও বিভিন্ন ব্যাংকে এর ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডিপিএসের বিপরীতে মাসিক, ত্রৈমাসিক, ছয় মাসিক ও বাৎসরিক সুদ দিয়ে থাকে।

এছাড়া সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময়ের জন্য ব্যাংকগুলোতে সঞ্চয় করার সুযোগ রয়েছে। এসব সঞ্চয়ের বিপরীতে যে সুদ দেয়, তার নাম ফিক্সড ডিপোজিট রেট বা স্থায়ী আমানতে সুদের হার (এফডিআর)।

সবশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫৯টি ব্যাংকের আমানতের সুদ বা মুনাফার পরিমাণ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবগুলোর সুদহার এক রকম নয়। বিভিন্ন মেয়াদে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত এফডিআরে সুদ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। মেয়াদি আমানতে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশও সুদ অফার করছে কয়েকটি ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের মোট ৯টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এফডিআরে বিভিন্ন মেয়াদে সাড়ে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ সুবিধা দিচ্ছে। সাধারণ ডিপোজিটে দিচ্ছে ২.৫০ থেকে ৪ শতাংশ।

এছাড়া সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, জনতা, বেসিক, বিডিবিএল, পিকেবি ও বিকেবির সুদ ৪.৫০ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত আমানতকারীদের সুদ দিচ্ছে।

বেসরকারি ব্যাংক

বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সাধারণ সঞ্চয়ে ২ থেকে ৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। আর মেয়াদি আমানতে দিচ্ছে ৪ থেকে ৬ শতাংশ। তবে কিছু ব্যাংক মেয়াদি আমানতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদ অফার করেছে। এই তালিকায় এগিয়ে আছে চতুর্থ প্রজন্মের নতুন ব্যাংক গুলো (মিডল্যান্ড, মেঘনা, পদ্মা ব্যাংক, ইউনিয়ন, মধুমতি, এসবিএসি প্রবাসী উদ্যোক্তাদের এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল)।

শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক

দেশের শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, শাহজালাল, এক্সিম, ইউনিয়ন, আইসিবি ইসলামিক এনআরবি গ্লোবাল ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।এ ব্যাংকগুলো ৫ থেকে ৬ শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয়ের ওপর মুনাফা দিচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ৬.২৫ শতাংশ পর্যন্ত।

বিদেশি ব্যাংক

বিদেশি ব্যাংকগুলো সাধারণত আমানত কম সংগ্রহ করে, তাদের সুদহারও কম। এ খাতের বেশিরভাগ ব্যাংক মেয়াদি আমানতে ২ থেকে ৪ শতাংশ সুদ দিচ্ছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের তিন মাস ও তার বেশি মেয়াদি আমানতের সুদ হার কোনোভাবেই মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হবে না। দেশের ভোক্তা মূল্যসূচকের হিসাবে গড় মূল্যস্ফীতির সাড়ে ৫ শতাংশের ওপরে। সে হিসেবে এখন ব্যাংকের সর্বনিম্ন সুদহার সাড়ে ৫ শতাংশের ওপরে থাকার কথা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, তাদের এ নির্দেশনা বেশিরভাগ ব্যাংক যথাযথ পরিপালন করছে না।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x