এক মাস আগে স্বপ্ননীল আর প্রত্যয়—দুই ছেলেকে নিয়ে অভিযান-১০ লঞ্চে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন মা লক্ষ্মী রানী। রাত ৩টায় লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছোট ছেলে প্রত্যয় হাওলাদারকে নিয়ে মা লক্ষ্মী রানী কোনোমতে লাফিয়ে বাঁচলেও বড় ছেলে স্বপ্ননীল হাওলাদার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদীতে ঝাঁপ দিলে তার সলিলসমাধি হয়। আর খোঁজ মিলেনি তাঁর। এখন ছোট ছেলেকে নিয়েই সংগ্রাম করে চলেছেন অভাগি মা।
উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র স্বপ্ননীলকে হারিয়ে মা লক্ষ্মী রানী এখনো স্তব্ধ। সন্তানের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে শূন্য হাতে তাঁরা কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায় ফিরে গেছেন।
স্বপ্ননীলের স্মৃতি এখনো কাঁদায় বাবা সঞ্জীব হাওলাদার ও মা লক্ষ্মী রানীকে।
প্রতিবেদনটি তৈরি করতে মুঠোফোনে কথা হয় লক্ষ্মী রানীর সঙ্গে। ফোনে পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এমন দিনে আমার ছেলেটা পড়ার টেবিলে বসা ছিল। আমি নুডলস দিয়েছি, ও খেয়েছে। আজ সেই টেবিলটা আছে, কিন্তু আমার ছেলেটা নাই। আমার ছেলেটা যদি সাঁতার জানত, তাহলেও হয়তো ও মারা যেত না। এখন ওর স্মৃতিই আমার একমাত্র সম্বল। প্রতিদিন সকাল হলে ওর ব্যবহারের সব কিছু বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদি, তবু ওর শূন্যতা ভুলতে পারি না। ’