রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু-মহিষের অবাধ বাণিজ্য 

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

পঞ্চগড় তেতুলিয়া সীমান্ত দিয়ে আসতে শুরু করেছে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু-মহিষ সহ মাদকদ্রব্য। এতে চোরাচালান সক্রিয় ভাবে মাথা চাড়া  দিয়ে উঠেছে। রাতের আধারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কাটাতার কেটে অবৈধ ভাবে গরু-মহিষ প্রবেশ করছে। সদর বিজিবি একটি অস্থায়ী কোরিডোর ছিল আগে এখন আর সেটি ব্যাববহার হয় না। ফলে করিডোর টি অকার্যর রয়েছে। এতে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অপর দিকে মডেল থানা পুলিশ ও বিজিবি সীমান্তে অভিযান করে দুই একটি গরু চালান নামে মাত্র আটক করছেন। কিন্তু সীমান্তে  চোরাচালান কারবারি সাথে জড়িত কেউ ধরা পড়ছে না।

এব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায়  অলোচনা হয়। অভিযোগে জানা যায়, বাংলাবান্ধা, কাশিমগঞ্জ, ধাইজান, তিরনই-হাট, হাকিমপুর, রওশনপুর, লালবাগ, লালগছ ভুতিপুকুরি, বগুরাহাট্রি, ডাংগীপাড়া, কির্তনপাড়া, মুর্খাজোত,  শান্তিনগর, ফকিরহাট, ভদ্রেশ্বর, শিবচন্ডি, নন্দনগছ, তেতুলিয়া, শারিয়াল জোত, রশুনপুর, তেলিপাড়া, শালবাহান, বুড়াবুড়ি, ভজনপুর এবং দেবনগর বিভিন্ন সীমান্ত স্থান দিয়ে চোরাই পথে আসছে কাটাতার কেটে ভারতীয়  নাগরিকসহ গরু-মহিষ ও মাদকদ্রব্য ইত্যাদি। কতিপয় প্রসাসনের অসাধু সদস্যদের প্রত্যক্ষ যোগ-সাজশে সরকারী ভ্যাট রাজস্ব ফাকি দিয়ে গরু-মহিষ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানাযায়, জড়িত রয়েছে অসাধু প্রসাসন, প্রভাবশালী জন প্রতিনিধি তাদেরকে ম্যানেজ করে চলছে দিনরাত প্রকাশ্যে পাচার বানিজ্য। এতে সীমান্তে কেউ বিএসএফের হাতে আটক কেউ গুলিতে মারা যাচ্ছে। অনেকে আবার জেল হাজত সাজা শেষে করে দেশে এসেছেন।

জানা যায় সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চোরাই পথে যে সকল গরু-মহিষ আসে, ওই সকল গরু-মহিষের সনদ দেন উৎকোচ বিনিয়মের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যারা। ইউপি চেয়ারম্যান এর সনদপত্র নিয়ে দেশীয় খামারী কৃষকের গরু হিসেবে ট্রাক্টোরযোগে শালবাহান হাট বা পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রেরন করা হয়।

এখানে বৈধ ভাবে সরকারী শুল্ক কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। ফলে সীমান্ত পথে চোরাইভাবে অবৈধ গরু-মহিষ আসা সম্পুর্ন বে-আইনী নিষিদ্ধ। এরপরেও ভারতীয় গরু আসছে। এ ব্যাপারে গত ৮ জানুয়ারি ৯ টি গরু বিজিবি এবং বাংলাবান্ধা ৭ টি গরু উদ্ধার অভিযান করে, ও ২৪ আগষ্ট ২৩টি ভারতীয় গরু ও ২১ফেব্রুয়ারী তারিখে তেতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের এস আই  জাহাংগির আলম, রাসেল, জুলফিকার, ফারুক, তপন কুমার রায়, আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে আরো ২৭টি গরু উদ্ধার অভিযান করা হয়। পরে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি হয়েছে। অবৈধ চোরাই পথে আসা ভারতীয় প্রায় ৫০টির মতো গরু উদ্ধার করেন। প্রকাশ্যে নিলাম ঘোষনা করে বিক্রি করা হয়।

সূত্রমতে সীমান্তে প্রায় ৩০-৪০জনের মতো সক্রিয়  গরু ব্যাবসায়ী রয়েছেন। চোরাকারবারি ব্যাবসায়ীরা অতি কোশলে নিম্ন শ্রেনীর গরীর পরিবারের অতি দরিদ্র শিশু-কিশোরদের গরু চোরাচালান কাজে ব্যাবহার করে আসছে। এতে ৩-৪হাজার টাকার বিনিময়ে রাখাল  ভারতীয় গরু-মহিষ পারাপার করছে। এতে কেউ বিএসএফ এর হাতে ধরা পরে জেলহাজতে রয়েছে আবার কেউ রয়েছে নিখোজ। অনেকে আবার বিএসএফ এর গুলিতে মৃত্যু বরন করেছেন। এই ব্যাপারে বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার মোঃ মোতালেব  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আইন মোতাবেক ভারতীয় গরু-মহিষের ব্যাবসার কোন বৈধতা নেই, অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে এই ব্যাবসা হয়ে আসছে বলে তিনি জানান।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x