শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

খুবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গত ২৪ জানুয়ারী প্রতীকী অনশন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা প্রতীকী অনশন করেন তারা। শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ভিসির ঘৃণিত কাজের প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য এখনো শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ না করে বরং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের অনশনের ১১৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। ফলে যেকোনো সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এসময় তারা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

অনশনরত বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘একজন উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক শিক্ষার্থীরা যে অভিভাবককে চায় না তাহলে তিনি কিভাবে থাকেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় চলে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে একজন ভিসি কতটা নিষ্ঠুর, কতটা স্বৈরাচারী হলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হামলা করতে পারে। আমরা অনতিবিলম্বে শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চাই।’

আরেক শিক্ষার্থী ইংরেজি ডিসিপ্লিনের মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে একটি ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমরা মনে করি তিনি এখন তার পদে থাকার জন্য যোগ্য নয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। আমরা অতি শীঘ্রই তার পদত্যাগ চাই।’

অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শাবিপ্রবি ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি না চায় তাহলে শাবিপ্রবির ভিসি একদিনও তার পদে থাকতে পারেন না। আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা মানববন্ধন করেছি। ভিডিও বার্তাও দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত শাহজালালের ভিসি পদত্যাগ না করবে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো।’

উল্লেখ্য, গত ১১ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি পূরণ না হওয়ায়, গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন তারা। অসুস্থ শরীরে জ্বর গায়ে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো কথাও বলতে পারছেন না। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন অনশনকারী শিক্ষার্থী। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যেও এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে তারা অটল।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় সংকট উত্তরণের আভাস পাওয়া যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলাকালীন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x