সারাদেশে এখন ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি। প্রতিটি ঘরই যেনো একেকটি ‘হাসপাতালে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেউ সাহস করে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। পরীক্ষার আগেই সুস্থ্য হয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ তেমন কোন লক্ষণ নেই পরীক্ষা করালেই করোনা পজেটিভ হয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এটি করোনার নতুন ধরন নাকি সাধারণ সর্দি-জ্বর! তাহলে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে? তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সচেতন থাকতে হবে।
দেশে এক দিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বাড়ছে নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত করোনা আক্রান্তের যে সংখ্যা জানাচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ। করোনা পরীক্ষায় মানুষের অনাগ্রহ এবং সংক্রমিতদের কোনো ব্যবস্থাপনায় না রাখাকে লাগামহীন সংক্রমণের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন তারা।
সতর্কতার পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাসায় থাকলেও আইসোলেটেড থাকতে হবে। বাইরে একেবারে ঘোরাফেরা করা যাবে না।
আজিমপুরের বাসিন্দা মিন শংকর মৃধা নামে একজন বলেন, আগে বছরে অন্তত ঘরমে ঠান্ডায় চার পাঁচবার সর্দি কাশি হতো। এখন করোনা আসার পর সেটি হচ্ছে না। কারণ আমরা মাস্ক ব্যবহার করছি। এখন যখন সর্দি জ্বর হচ্ছে তখন অনেক এটিকে করোনা বলছে। হতে পারে করোনা তবে সাবধানতার বাইরে ভয়ের কিছু দেখছি না। আমার পরিবারের সবার গত কয়েকদিনে এমনটা হয়েছে।’