শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ার সাংবাদিকতায় আদর্শ জুটি-বিপ্লব ডিউ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

দু‘জনই সু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রসেবী, সাংবাদিকদের নেতা,সমাজসেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,গণমানুষের দরদী সহযোগী, সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং পারিবারিক জীবনে সফল ও আদর্শ জুটি। রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব কুষ্টিয়ার আধুনিক সাংবাদিকতার কারিগর ও নেতা। দৈনিক আরশীনগর-এর সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া-জেইউকে ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সফল সভাপতি । তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ডিউ বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি, দৈনিক আরশীনগর’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ইংরেজি ডেইলি অথেনটিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, ডেইলি নিউ নেশন ও দৈনিক বঙ্গজননী কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।

তাদের অত্যন্ত মেধাবী ও বহু গুণের অধিকারী দুই মেয়ে তাসনিয়া ইসলাম তানহা, নূসাইফা ইসলাম ত্বাহা। তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন আরশীনগর ভবন, পূর্ব মজমপুর, কুষ্টিয়ায়। অত্যন্ত সুমিষ্ট ভাষী এবং বন্ধুসুলভ আচরণের কারণে তারা ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৷

রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব:
তিনি সাংবাদিক,গবেষক, লেখক ও কবি, রাজনৈতিক নেতা,সমাজসেবক ও পরিবেশ প্রেমিক,৷ তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া-জেইউকে ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সফল সভাপতি, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক আরশীনগর, ডেইলি অথেনটিক, দৈনিক পদ্মা গড়াই পত্রিকার সম্পাদক তিনি বিআরজেএস কেন্দ্রীয় সভাপতি।তিনিকুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ, কুষ্টিয়া শাখার আহবায়ক। তিনি দৌলতপুরের কৃতী সন্তান।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ হিউম্যান রাইট্স ইন বর্ডার এরিয়া’ শীর্ষক গবেষণায় এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেছেন তিনি। তিনি একজন লেখক,গবেষক ৷ তার লেখা বেশ কয়েক বই ইতিমধ্যে পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ৷ তার রচিত ‘কুষ্টিয়ার সংবাদপত্রের ইতিহাস’, কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ ও ‘কারাপরিদর্শকের কারাবাস’ বেশ জনপ্রিয়। তার প্রকাশনা ও সম্পাদনায় দৈনিক আরশীনগর পত্রিকাটি পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ৷ তার প্রকাশনায় কুষ্টিয়ার একমাত্র ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি অথেনটিক প্রকাশিত হয়ে থাকে ৷ এছাড়াও দৈনিক পদ্মা-গড়াই নামে আরও একটি পত্রিকার তিনি সম্পাদক ও প্রকাশক ৷

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বেতার,নাগরিক টিভি,বিজয় টেলিভিশন,দৈনিক বর্তমান এর কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ৷ ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি জাতিসংঘ সফর করেন ৷ অত্যন্ত সুমিষ্ট ভাষী এবং বন্ধুসুলভ আচরণের কারণে তিনি ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।

রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের পিতা প্রয়াত সাংবাদিক নাহারুল ইসলাম।তিনি ১৯৬৫ সালে ওয়ালিউল বারী চৌধুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক মশাল পত্রিকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় জাতীয় দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক নূতন বাংলা, দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, সাপ্তাহিক ইস্পাত, সাপ্তাহিক জাগরণী, সাপ্তাহিক গ্রামের ডাক, সাপ্তাহিক দেশব্রতী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন সুনামের সাথে। সাংবাদিক নাহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জহুরুল হক রাজা মিয়া এমপির সাথে সার্বক্ষণিক থাকতেন এবং ইয়ুথ ক্যাম্প থেকে মুক্তিযুদ্ধের নানা খবর তিনি কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করতেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় দৌলতপুরে ভুমি ব্যবস্থা কমিটির দায়িত্ব পালন করেছেন ন্যায় নিষ্ঠার সাথে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা বাকশালের সহ সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বাকশালের সভাপতি, জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহচর্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো।

আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কায়সার রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের মেজো ভাই।

আফরোজা আক্তার ডিউ:
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি তিনি। ২০০০ সাল থেকে দৈনিক আরশীনগর’পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ইংরেজি ডেইলি অথেনটিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। ডেইলি নিউ নেশন ও দৈনিক বঙ্গজননী কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি। ২০০৯ সাল থেকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সদস্য। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। জেইউকে’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি দৈনিক জনতার কন্ঠ’র প্রধান উপদেষ্টা, কুষ্টিয়া জেলা উইমেন্স জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি উইমেন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে দীর্ঘদিন ধরে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে ২০১৬ সালে জয়ীতা হয়েছেন।

বর্তমানে নানাবিধ সামাজিক ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই নারী কুষ্টিয়া জেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল ও সমন্বয় কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সদস্য সচিব ছিলেন। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তিনি। অদ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য সচিব, কুষ্টিয়া লেডিস ক্লাবের সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য, লালন একাডেমি, চক্রবাক আবৃত্তি সংসদ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, কুষ্টিয়ারও সদস্য। উল্লেখ্য যে তিনি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিবর্তন (গভ: রেজিস্ট্রার্ড) কুষ্টিয়ার কো-অর্ডিনেটর, সরকারী শিশু সদন (বালিকা) বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং কুষ্টিয়া জেলা রেফারি আম্পায়ার সমিতির আজীবন সদস্যও এই বহুমাত্রিক গুণী মানুষটি।

আফরোজা আক্তার ডিউয়ের পিতা প্রয়াত সোহরাব হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত (মৃত্যুকালীন পর্যন্ত) কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সরকারি চাকরি ছেড়ে কলকাতা থিয়েটার রোডে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারে যোগদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মা শাহানারা বেগম মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য, বস্ত্র সরবরাহ ও অস্ত্র সংরক্ষণ করেছেন।

বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। ডিউয়ের চাচা প্রয়াত আবুল কাশেম পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এমন পারিবারিক প্রতিবেশে তার বেড়ে ওঠা। রক্তে তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরম পরিতোষে শিরা উপশিরা বেয়ে প্রবাহিত হয়ে চলেছে।
এই কর্মবীর মহিলা ১৯৭৬ সালের ২ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে বিএডও করেছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

একজন নারী যে কতটা বহুমাত্রিক গুণ ও কর্মের অধিকারী হতে পারেন-তা আফরোজা আক্তার ডিউকে দেখলে বোঝা যায়। শিক্ষকতা করে, সংসার সামলে, সন্তান লালন পালন করে, সাংবাদিকতা, রাজনীতি, সংস্কৃতির অধ্যয়ন ও চর্চা চালিয়ে যাওয়া, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা এবং সকল প্রকার অন্যায়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে কলম-কাগজে প্রতিবাদের পাশাপাশি রাজপথেও সক্রিয় ভূমিকা রেখে মানবীয় চরিত্রের স্বরূপ প্রকাশ করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে এই নারী।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x