শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

নতুন ইসি আইন জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না: পীর সাহেব চরমোনাই

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত। শিড়্গামন্ত্রী করোনার অজুহাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিড়্গার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে লোক দেখানো সংলাপ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের প্রতি সামান্যতম মূল্যায়ন না করে গঠিত ইসি আইন জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না বরং চলমান সঙ্কট আরো ঘনিভূত করবে। তিনি সকল দল মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান।

পীর সাহেব বলেন, ২০২৩ সালে পাবলিক পরীড়্গায় ধর্মশিক্ষা বাতিলের প্রস্তাবের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় তরুণ প্রজন্ম বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে জাতীয় শিড়্গক ফোরাম আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলস্নাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যড়্গ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দড়্গণি সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ইঞ্জিনিয়ার আহসানুলস্নাহ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইশতিয়াক মু. আলআমিন, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলদেশ-এর মহাসচিব মো. আব্দুর রহমানসহ জেলা প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব বলেন, যে দেশে আজানের ধ্বনিতে মানুষের ঘুম ভাঙ্গে এবং বাচ্চারা ঘরে ফিরে, সে দেশে ইসলামী শিড়্গা নিয়ে চক্রাšত্ম বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতিমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ে তুলতে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে। তিনি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মোসাদ্দেক বিলস্নাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের শতকরা ৯৭ ভাগ আমলা দুর্নীতিগ্রস্ত। দেশের সাধারণ জনতা যারা প্রবাসী তারা বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠায়। আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এবং দলীয় নেতারা বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, যৌন শিক্ষার নামে চরিত্রহননের শিক্ষা বাতিল করতে হবে। তিনি ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, গাছের গোড়া কেটে আগায় যত পানি দেয়া যেমন ভন্ডামী, তেমনিভাবে পাবলিক পরীড়্গা থেকে ইসলামী শিক্ষা তুলে দিয়ে নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন জাতির আশা তেমনই ভন্ডামী। তিনি ইসলামী শিড়্গার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, শিক্ষাখাতে দূর্নীতি ও বৈষম্যরোধে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমেই সরকারকে এর আশু সমাধান করতে হবে। ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিড়্গা মন্ত্রণালয়সহ শিড়্গাবোর্ডের অধিকাংশ কর্মকর্তা ভিন্নধর্মী এবং নাস্তিক। এজন্য ধর্মীয় শিড়্গার প্রতি তাদের এলার্জি। শিক্ষাখাতের এহেন দূরাবস্থা দূর করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণকরতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা বহাল রাখতে হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x