বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

হারিয়ে যাচ্ছে মহা রাজার দুর্গনগরী ভিতরগড়!

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দুর্গনগরী পঞ্চগড়ের ভিতরগড়। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই পুরাকীর্তি। ১৫০০ বছর আগে এখানে ছিল মহারাজা পৃথুর রাজধানী। প্রায় ২৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা প্রত্ন সম্পদ দখল হয়ে যাচ্ছে। পুরাকীর্তির জমি দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে চা বাগান, বসতবাড়িসহ অন্য স্থাপনা। সরকার দুর্গটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। স্থানীয় প্রশাসনও রয়েছে নীরব ভূমিকায়। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রত্ন পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ইতিহাস-ঐতিহ্য।

সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই ভিতরগড় ঘিরেই সৃষ্টি হতে পারে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় এলাকায় অবস্থিত এ দুর্গনগরী। দুর্গনগরীর মাটির নিচে আছে প্রাচীন সভ্যতার নানা স্থাপনা, অসংখ্য স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ ও মূল্যবান প্রত্নবস্তু। জানা যায়, দখল থেকে রক্ষা করে সরকারিভাবে ভিতরগড়কে প্রত্নস্থল এলাকা ঘোষণার জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২০১১ সালের ১৪ জুন হাই কোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রক্ষা, ভিতরগড় দুর্গনগরীকে প্রত্নতত্ত্বস্থল ঘোষণা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি রুল জারি করে আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও ভিতরগড়ে চলছে ধ্বংসযজ্ঞ।

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরও এই এলাকাটি প্রত্নস্থল ঘোষণা করেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, ভিতরগড়ের প্রাচীরের ইতিহাস চীনের প্রাচীরের চেয়েও সমৃদ্ধ। চারটি বেষ্টনীর সমন্বয়ে ভিতরগড় দুর্গনগরী গঠিত। এই বেষ্টনীগুলো একটি অপরটির অভ্যন্তরে অবস্থিত। ভিতরের বেষ্টনীগুলো সম্পূর্ণ ইট দিয়ে বানানো। বাইরের বেষ্টনী দুটি মাটি দিয়ে তৈরি। প্রতিটি বেষ্টনী পরিখায় পরিবেষ্টিত। এ ছাড়া ভিতরগড়ে মহারাজা দিঘিসহ ১০টি ছোট-বড় দিঘি রয়েছে। মহারাজার দিঘির পাড়গুলো ইট দিয়ে বাঁধাই করা-যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। তাদের মতে, ভিতরগড়ে ইকো পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্গনগরী ঘিরে গড়ে উঠতে পারে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র।এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক জানান, ঐতিহাসিক এই দুর্গনগরী সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। খাদেমুল ইসলাম

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x