শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

জালিয়াতির মাধ্যমে মসজিদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

নবীগঞ্জ উপজেলার শতবর্ষী ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের পরিবর্তে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ছালেহা জামে মসজিদ নাম করণ করে অবৈধ কমিটি গঠন করে মসজিদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ও মুসল্লিদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শতবর্ষী ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের ভুমি দাতা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক আশাহিদ আলী আশা ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের ভুয়া কাগজ দিয়ে নাম পরিবর্তন করে ছালেহা জামে মসজিদ নামকরণ, অবৈধ কমিটি গঠন করে মসজিদের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ ঢাকা ওয়াকফ প্রশাসক ও হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। ইউএনও তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে প্রতিবেদন প্রেরন করেছেন। উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয় মসজিদ কমিটির নিকট ২০১০ সালের পুর্বে কোন আয় ব্যয়ের হিসাব না থাকায় আর্থিক লেন দেনের বিষয়টি অস্পষ্ট থাকায় অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় এবং দায়িত্ব পালনে কমিটির অদক্ষতা প্রমানিত হয়।
এ বিষয়ে কমিটি পুণঃগঠনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক ঢাকা বরাবরে প্রেরন করেছেন।

এছাড়া, ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ওয়াকফ প্রশাসনের পক্ষে তদন্তকালে দেখা যায়, অবৈধ মসজিদ কমিটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজ তৈরী করে ওয়াকফ প্রশাসনে ছালেহা জামে মসজিদ নাম করন করেছেন। অথচ বর্তমানেও ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে যা অবৈধ কমিটি গোপন রাখেন মর্মে তদন্তে প্রতিয়মান হয়।

এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ওয়াকফ্ হিসাব নিরীক্ষক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যেহেতু মসজিদ গর্ভে সরকারী সম্পত্তি রয়েছে সেই সুবাধে এলাকার শান্তি শৃংখলার স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে সভাপতি, এবং ভুমি দাতা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক আশাহিদ আলী আশাকে সেক্রটারী/মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করে ১১/১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে নীরব রয়েছেন। দীর্ঘ ৩১ বছর যাবৎ ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে অবৈধ কমিটি ও ভুমি দাতা পরিবার এবং মুসল্লিদের মাঝে বিরুধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, মুরুব্বীয়ানসহ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার শালিস বিচার করলেও অবৈধ কমিটি কোন রায়ই না মানায় তা ভেস্তে যায়। বর্তমানে ওই মসজিদ নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দাঙ্গা হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x