শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে আজ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

অমর একুশে বইমেলার পর্দা উঠছে আজ। এটি বইমেলার আটত্রিশতম আসর। আজ বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি এই মেলা উদ্বোধন করবেন।

এবার বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

এবার মেলাতে কঠোরভাবে মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবেনা। লাগতে পারে টিকা সনদও।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রথমদিকে ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪টি প্রবেশ ও ৩টি বাহির পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্বাধীনতার মর্মবাণী সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু-গ্রন্থভুক্ত হস্তলিপি বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটি একটি প্যাভিলিয়ন নিয়েছে।

বাংলা একাডেমি আঙ্গিনা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ লাখ বর্গফুট জায়গা-জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের অমর একুশে বইমেলা। অংশ নিচ্ছে ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠান। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪২টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৩৪টি ইউনিট দেওয়া হয়েছে। মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারই মেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৫টি প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়ন থাকবে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার প্রথমদিকে ‘শিশু-প্রহর’ থাকবে না।

প্রতিবছর মতো এবারও মেলায় থাকছে গ্রন্থ উন্মোচন, লেখক বলছি মঞ্চ, নতুন বইয়ের স্টল, শিশু চত্বর, পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, পর্যাপ্ত প্রবেশ ও বাইর হওয়ার পথ, আশ্রয় কেন্দ্র, পার্কিং ব্যবস্থা, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, নামাজের ঘর, টয়লেট ব্যবস্থা, হুইল চেয়ার, ফুডকোট ইত্যাদি। এছাড়া এবার মেলায় কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। মেলার অঙ্গসজ্জায় বিশেষভাবে মেলে ধরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্বাধীনতার মর্মবাণী সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু-গ্রন্থভুক্ত হস্তলিপি বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। লিপি পাঠ করে তরুণেরা বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখার সঙ্গে পরিচিত হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x