শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

ভালোবাসার ফুল বিক্রি করে মন ভরেনি ব্যবসায়ীদের

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

ভালোবাসা দিবসে যখন চারদিকে ভালোবাসার ছড়াছড়ি তখন বাড়তি আয়ের আসায় শাহবাগের ফুলের দোকানে বসে রাশেদুল ইসলাম। বিক্রিও হচ্ছে। তবে প্রতিবারের মতো না। করোনার মধ্যে রাশেদের ফুলের ব্যবসাও কিছুটা বিবর্ণ। তাই ভালোবাসার দিবসে ফুল বিক্রি করেও মন ভরেনি ব্যবসায়ীদের।

রাশেদ বলেন, আগে যে দামে বিক্রি করতাম এবার সেটি এবার হয়নি। প্রতিবার অন্তত দশ হাজার টাকার বাড়তি ফুল বিক্রি করতে পারলেও এবার সেটি হয়নি।

দেখা যায়, তার দোকানে রয়েছে বাহারি জাতের ফুল। পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভালো বিক্রির আশা করেছিলেন। কিন্তু এবার যা আশা করেছিলেন তেমন ক্রেতার দেখা মেলেনি! তাই এই ভরা মৌসুমে রঙিন ফুল তার মনকে রাঙাতে পারছে না। গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের মধ্যে দিনভর বসে থেকেও মনে সুখ নেই ফুল ব্যবসায়ীদের।

রাজশাহীর ফুল ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। নতুন বছর শুরুর মধ্য দিয়ে ফুলের ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এবার ১০ লাখ টাকার ফুল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিক্রি কম থাকায় লক্ষ্যমাত্রা তো পূরণ হবেই না উল্টো এই ফুল নিয়ে বিপাকে পরতে পারেন ব্যবসায়ীরা। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে কর্মচারী, দোকান ভাড়াসহ আনুষাঙ্গিক খরচ মেটাতে হিমশিম খাবেন। ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, আজ একটি ছোট আকৃতির লাল গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা, কাগজে মোড়ানো ৬০-৭০ টাকা, আর লাল বড় গোলাপ ৯০-১০০ টাকা, রজনীগন্ধার স্টিক ২০-২৫ টাকা, কালার গ্লাডিওলাস ৩০-৪০ টাকা, ফুলের তোড়া সর্বনিম্ন সাড়ে ৩শ থেকে ১ হাজার টাকা, জারবেরা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গাঁদা ৬০ টাকা। ফুলের মধ্যে এবার রজনীগন্ধা ও গোলাপের চাহিদা বেশি। তরুণীদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে জারবেরা ও কালার গোলাপ। তবে, ভালোবাসা দিবসের জন্য আজ গোলাপের চাহিদাই বেশি। মহানগরীর জিরোপয়েন্টের ফুল ব্যবসায়ী শহিদ বলেন, ফুলকে কেন্দ্র করেই আমাদের সবকিছু। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমরা ফুল বিক্রি করতে পারছি না। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটি পালন উপলক্ষে রাজশাহীতে এবার প্রায় ১০ লাখ টাকার ফুল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই ফুল বেশি টাকায় বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীরা টার্গেট নিয়েছেন। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ফুলের বিক্রি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এখন আমদানি করা সব ফুল বিক্রি হবে কিনা এ নিয়ে চিন্তিত।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x