করোনা মহামারী নয় বরং বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির পরিবেশ দূষণ বিশ্বজুড়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে জানানো হয়েছে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। এতে কয়েকটি বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে ‘জরুরি ভিত্তিতে এবং উচ্চাভিলাষী ব্যবস্থা’ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কীটনাশক, প্লাস্টিক এবং ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের কারণে বিশ্বজুড়ে যে দূষণ হচ্ছে তাতে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। পাশাপাশি এই দূষণ বিশ্বজুড়ে এক বছরে অন্তত ৯০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটাচ্ছে। অথচ গুরুতর এই বিষয়টি বেশিরভাগ সময়ই এড়িয়ে চলা হয়।
ওয়াল্ডমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
পরিবেশবাদি সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ এর কথা বললেও সেগুলোকে আমলে নিতে দেখা যায় না। আবার যারা পরিবেশ রক্ষার কথা বলছে তাদের অনেক প্রতিষ্ঠানকে বায়ু দূষণ করছে এমন সংগঠনের পাশে থাকতে দেখা যায়। বিশ্বব্যাপী এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রয়েছে বাংলাদেশেও।
আগামী মাসে পরিবেশ বিষয়ক এই প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ স্বাস্থ্যকর পরিবেশকে মানুষের মানবিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছে।
প্রতিবেদনে চরম দূষণের শিকার অঞ্চলগুলো পরিষ্কার করার সুপারিশও করা হয়েছে। চরম পরিবেশ দূষণের মূল্য দিতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের; যারা মূলত গরিব, প্রান্তিক এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী। সম্ভব হলে তাদের তথা কথিত ‘স্যাক্রিফাইস জোন’ থেকে সরিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।