শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

আইএসইউ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ মানসম্পন্ন শিক্ষার সঙ্গে চাকরির সুযোগ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের দ্রুত অগ্রসরমান গার্মেন্টস্ শিল্পে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে র্শীষে অবস্থান করছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। টেক্সটাইল সেক্টরের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজারিয়াল পজিশন এবং বাইং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং ও শিক্ষকতায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

দেখা যায়, অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। যার কারণে পিছিয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইনিঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপর বাড়তি নজর দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। যারমধ্যে অন্যতম ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি। দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’ এর দুই কর্ণধার ও আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: আতিকুর রহমান ইন্টারন্যাশনার স্ট্যান্ডার্র্ড ইউনিভার্সিটি এর প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠাতারা বলছেন শিক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ (প্রতিষ্ঠাতাদের) ১৯টি টেক্সটাইল বিষয়ক ইন্ডাস্ট্রিতে আছে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ। এছাড়াও নিজেদের ৩০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে থাকছে ইন্টার্ন এবং চাকরির ব্যবস্থা। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের এ শিল্পও দ্রুত এগিয়ে নিতে অবদান রাখছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে গ্রেজুয়েশন শেষ করে, স্পিনিং মিল, উইভিং ফ্যাক্টরি, ডাইংপ্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং মিল, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, কম্পোজিট মিল, ডেনিম প্রজেক্ট, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, বায়িং হাউস, মার্চেন্ডাইজিংসহ বেসরকারি সেক্টরে কাজ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি পলিটেকনিক ও কলেজগুলোতেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আওয়াল খান বলেন, ‘শিক্ষা জীবন শেষে চাকরির বিষয়টি পরিবারের অপরিহার্য চাওয়া । চাকরির সেক্টর বাড়াতে দরকার সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ। স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ উচ্চ শিক্ষার সুযোগের সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের জন্য সে সুযোগ বেশি।’

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনার স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারর্পাসন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুল বাছেদ মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর বিশ্ব প্রতিযোগিতার সম্মুখীন এবং প্রায় ৮৬ শতাংশের অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনে এ সেক্টরের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সরকারী পর্যায়ে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে এ সেক্টরে কারিগরিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি তৈরীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারীভাবে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কখনই সম্ভব নয়। তাই বেসরকারীভাবেও এ সেক্টরের উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতার দরকার। সেই তাগিদে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ আইএসইউ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উলেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর টেক্সটাইল বিষয়ক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি ইন্ডাষ্ট্রি লিংকেজ এডুকেশন এর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বচ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ সেক্টরে যোগ্য ও ব্যতিক্রমী, যুগোপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ৬৯ মহাখালী ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স টাওয়ার’ নামে একটি সুবিশাল ভবনে চলছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম। পুরো ক্যাম্পাসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সিসিটিভি, মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টর সুবিধাসম্বলিত ক্লাসরুম, ওয়াই-ফাই সংযোগসহ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ৮ম তলায় রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ার মনোযোগেও ব্যাঘাত ঘটে না। লাইব্রেরিতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বই এবং ই-বুকস। আরও আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভিন্ন জার্নাল। ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধাসহ সবরকম আধুনিক ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত আসন বিদ্যমান থাকায় পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ বিরাজমান থাকে।

জানা যায়, ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে। জানুয়ারী-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় যারমধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটেগরিতে স্কলারশীপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। আরো তথ্যের জন্য আইএসইউ এর ওয়েবসাইট www.isu.ac.bd ভিজিট করুন বা ০১৩১৩০৩৭০৭০, ০১৩১৩০৩৭০৭১, ০১৩১৩০৩৭০৭৮ নম্বর এ যোগাযোগ করতে পারেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x