মানবপাচার একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। অল্প টাকায় আয়ের জন্য অনেক নারী পুরুষ নিজ থেকেই গুপ্ত পথে বিদেশ পাড়ি জমাতে ইচ্ছা পোষণ করেন। আর এই সুযোগে পাচারকারী চক্র অল্পদামে বিক্রি করে দিচ্ছে নারী-পুরুষদের। যাদের বেশিরভাগই যাত্রপথে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হচ্ছে। আবার যারা পৌছে যাচ্ছেন তাদেরও সহ্য করতে হচ্ছে অসহ্য যন্ত্রণা আর নির্যাতন। পুরুষরা কোন মতে মেনে নিলেও নারীদের উপর পাশবিক যৌন নির্যাতনের কারণে এসব আলোচনা আসছে।
মানবপাচারকারী এই চক্রগুলো এবার বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে । আসমুদ্রপথে সহজে পাচারের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরকে বেঁচে নিয়েছে তারা। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ সাগরপথে পাচারকালে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে ১৪৯ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৭৮ জন নারী, ২৩ জন শিশু ও ৪৮ জন পুরুষ রয়েছে। মূলত দালাল চক্র উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে তাদের জড়ো করে পাচার করছিল। আর এই কারণে দালালরা তাদের কাছ থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে।
এরপর গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার র্যাব-১৫ বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের শামলাপুর উপকূল থেকে আরও ৫৭ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় র্যাব দুজন দালালকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের মে মাসে আরও ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া সম্প্রতি ভারতে পাচারকালে সাতজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় দুই দালালকেও আটক করা হয়।