বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

গুলশান থেকে চোখ সাধারণ মানুষের দিকে ফেরাতে হবে : প্রিন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সবকারি তথ্য বলছে ঢাকার গুলশানে দারিদ্র্যহার ৪ শতাংশ আর দেশের সবচেয়ে গরিব এলাকায় দারিদ্র্যহার ৮০ শতাংশ। দেশ শাসন করা শাসকদের চোখ গুলশানের দিকে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এটা মানা যায় না। এজন্য সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন রক্ষা করতে গুলশান থেকে চোখ সাধারণ মানুষের দিকে ফেরাতে হবে ।

আজ শুক্রবার পটুয়াখালী কলেজ রোডে সিপিবি কার্যালয়ে পার্টির বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সিপিবির ঝালকাঠি জেলা সভাপতি স্বপন সেন গুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন পার্টির বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক ও পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মোতালেব মোল্লা, বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বরগুনা জেলার নেতা জাকির হোসেন জুয়েল, ভোলা জেলা সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ, ঝালকাঠি জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস হরি, পিরোজপুর জেলা নেতা খ ম মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, শাহবুদ্দিন আহমেদ, চিত্ত শীল, মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক, সুভাষ চন্দ্র নাগ, সমীর কর্মকার, নূর হোসেন খান, অধ্যাপক বিপ্লব দাস প্রমূখ।

সভায় রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, পাকিস্তান এক দেশ থাকলেও ছিল দুই অর্থনীতি। এখনো এক বাংলাদেশে দুই অর্থনীতি চলছে। আগে পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ পাচার হোত পশ্চিম পাকিস্তানে, এখন পাচার হয় ইউরোপ, আমেরিকা ও ভারতে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ লুট করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নেই। এমনকি আমাদের রক্ষাকবচ,বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে পর্যন্ত ধ্বংস করা হচ্ছে। পালাক্রমে দেশ শাসন করা শাসকেরা দেশে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এরাই গণতন্ত্রহীনতা, ভোটের অধিকার হরণ, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা লালন পালন করে চলেছে। দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদী শক্তির তাঁবেদারি করে। এদের হাত থেকে দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সিপিবিকে আরো সক্রিয় করতে হবে। গণআন্দোলন ও গণসংগ্রামের ধারায় পার্টিকে এগিয়ে নিতে হবে।

সভায় দক্ষিণাঞ্চলের বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানে গ্রাম শহর ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। সেখানে অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ ও সম্পদের সুষম বন্টনের কথা থাকলেও বৈষম্য বেড়ে চলেছে। দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও অর্থনীতির হাতে দেশ আজ বন্দি। এর থেকে মুক্তি পেতে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে, বিজয়ী হতে হবে। গুলশান থেকে চোখ সাধারণ মানুষের দিকে ফেরাতে হবে। এটা করতে পারবে বামপন্থীরা। তিনি সারা দেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যয্যমূল্যের দোকান চালু , ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং কমদামে নিত্যপণ্য সরবরাহের দাবি জানান।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এর সুফল যেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পায়, সেজন্য এলাকায় কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে, এজন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসকারী প্রকল্প বন্ধ করতে হবে। চলমান দুঃশাসনের অবসানের ঘটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x