শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৮ অপরাহ্ন

সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২
  • ১৭

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ২০২২-২৩ সালের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটকে কর্মসংস্থান শুণ্য ও মালিক তোষণের বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে তা বাতিল এবং শ্রমিকের জন্য রেশন, আবাসন ও চিকিৎসা খাতে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই আহ্বান জানান। শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিন উদ্দিন, মহানগর নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, নূর এ আলম ও হাসান মিয়া।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী সরকারের আয়ের প্রায় ৩৬ শতাংশ বোঝা বহন করবে সংখ্যাগরিষ্ট শ্রমজীবী মানুষ। আর পেনশন-গ্রাচ্যুয়টিসহ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হবে বাজেটের ৩৫ শতাংশ। তারা বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তিৃতায় সার্বজনীন পেনশন স্বীম চালু করার কথা বলেছেন। সামাজিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। অথচ সরকারী কর্মচারীদের পেনশন, প্রণোদনা ঋনের সুদের ভর্তুকি যুক্ত করে সামাজিক সুরক্ষা খাতের বরাদ্দ বড় করে দেখিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতের প্রকৃত বরাদ্দ দশমিক ৬৩ শতাংশ। সার্বজনীন পেনশন স্বীম খাতে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। আর ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষের শ্রমঅধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রাপ্ত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক কোটি ৩০ লক্ষ প্রবাসীদের কল্যানের দায়িত্বের প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রীয় শিল্পের বিকাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক বরাদ্দ আগের বছরের তুলনায় ৪৬৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাজেটে উৎপাদনের প্রধান অংশিদার শ্রমিকদের ন্যূনতম খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন, বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর আবাসন এবং চাকরির অবসানে সুরক্ষার দাবির কেনো প্রতিফলন নেই। এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি পুরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট প্রণয়নের দাবি জানানা তারা।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x