শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

বাদ্যের সুরে পুলিশ-বিজিবির বিজয় উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

ড্রামের কম্পন, করতালের ঝনঝন আর ট্রাম্পেটের তীক্ষ্ণ সুর মিলে যেন এক ত্রিমোহনী। যে ত্রিমোহনীতে ফুটে ওঠে কালজয়ী দেশাত্মবোধক গান ‘একাত্তরের মা জননী’র যান্ত্রিক সুর।

শুক্রবার বিকেলে সোরাওয়ার্দী উদ্যানে এভাবেই নানা যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিজয়ের একান্নতম বার্ষিকী উদাপদন করে বাংলাদেশ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির বাদক দল। সুসজ্জিত পোষাকে সুরে সুরে তাদের পরিবেশনায় উপস্থিত দর্শনার্থীরা উপভোগ করেন নানা দেশাত্মবোধক গান।

বিজয় দিবসে পিতা-মাতার সঙ্গে সোরাওয়ার্দী উদ্যানে বেড়াতে এসেছে উদয়ন স্কুলের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া আলিফ। পুলিশের পাইপ ব্যান্ডের পরিবেশনা ‘গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ’ গানের সঙ্গে পরিচিত আলিফ কালের কন্ঠকে বলে, ‘এটা দেশাত্মবোধক গান, আমাদের স্কুলের পিটিতে গাওয়া হয়৷’

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পুলিশ বাদক দলের ব্রাশ ব্যান্ড ও পাইপ ব্যান্ডের ৭৫ সদস্য পরিবেশনায় অংশ নেয়। পুলিশের বাদক দলের নেতৃত্ব দেন পুলিশ পরিদর্শক মো হারুনুর রশীদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর এবং ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে আমাদের এই আয়োজন করা হয়। দেশাত্মবোধক গানের যান্ত্রিক সুর পরিবেশনের মাধ্যমে আমরা বিজয়ের উদযাপনকে আরও মহিমান্বিত করার চেষ্টা করি।’

একই সময়ে ‘বিজিবি সংগীত’ বাজিয়ে বিজয় দিবসের যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা করে বিজিবির বাদক দল। এর পর ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ -সহ বিভিন্ন গানের যান্ত্রিক সুর পরিবেশন করেন তারা।

বিজিবির পরিবেশনা ঘিরে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভীর। বিজয় দিবস উদযাপনের নানা মুহুর্ত নিজের ক্যামেরায় বন্দি করতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। কালের কণ্ঠর কাছে বিজিবির বাদ্য পরিবেশনার প্রশংসা করেন তিনি।

বিজিবি বাদক দলের নেতৃত্বদানকারী ব্যান্ড মাস্টার কর্পরাল জাহিদ কালের কন্ঠকে জানান, বিজিবি বাদক দলের ৪০ সদস্য আজকের পরিবেশনায় অংশ নিয়েছে। প্রতিবছর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাদক দল বাদ্য পরিবেশন করে থাকেন তারা।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x