শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন

পাঁচ পার্বত্য জেলার পাহাড়ের তালিকা ও প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩

নিউজটি শেয়ার করুন

দাগ, খতিয়ানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাঁচ জেলার (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি) সব পাহাড়ের তালিকা এবং পাহাড়গুলোর বর্তমান অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম সিটি করেোপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, গৃহায়ন ও পূর্ত সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)’র চেয়ারম্যান, পাঁচ জেলার জেলা প্রশাসকসহ ১৪ বিবাদীকে এ তালিকা ও প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির পাহাড় কাটা বন্ধে ২০১১ সালে জনস্বার্থে রিট করে বেলা। এর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১৯ মার্চ কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন উচ্চ আদালত। এসব জেলার পাহাড় কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পাহাড় কেটে কেউ আবাসন প্রকল্প বা ইটভাটা স্থাপন করলে তাও ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই রায়ে। এর সঙ্গে বন উজাড় বন্ধ করতে ও পাহাড়ি অঞ্চলে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও এই পাঁচ পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়নে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। নির্বিচারে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক, রেললাইন, আবাসন স্থাপনা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও শিল্পকারখানার সম্প্রসারণেও পাহাড় কাটা হচ্ছে। ফলে পাহাড় কাটা বন্ধে আদালতের রায় বাস্তবায়ন চেয়ে আবেদন করা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বেলা।

সংগঠনটির আইনজীবী এস হাসানুল বান্নার স্বাক্ষরে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে পাহাড় কাটা রোধে সরকারের সংস্থাগুলো কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়েও আদালত প্রতিবেদন চেয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঁচ পার্বত্য জেলার পাহাড়গুলোকে আরো ক্ষতি ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর পাহাড় কাটা বন্ধে ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা’ এই পাঁচ জেলার সব পাহাড় ও টিলার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’

এছাড়া কাটা হয়েছে এমন পাহাড়-টিলাগুলোতে দেশিয় প্রজাতির গাছ লাগানোর পাশাপাশি এসব পাহাড়-টিলার সুরক্ষায় দেয়াল তৈরি করতেও বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x